ইকরামুল হাসান শাকিল একাধারে পর্বতারোহী, লেখক, নাট্যকর্মী ও মোটিভেশনাল বক্তা। তার জন্ম গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ১৯৯৪ সালে। গাজীপুরের জনতা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে উত্তরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৯ সালে বাবা মো. খবির উদ্দিন মারা গেলে সংসার ও পড়াশোনার খরচ চালাতে সুপারশপে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন।
Advertisement
শাকিলের স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার। তাই তো নেমে পড়েন একেকটি দুর্গম অভিযানে। সেসবের আলোকেই ভ্রমণ এবং পর্বতারোহণ বিষয়ে তার বইসমূহ হলো ‘মাউন্ট কেয়াজো-রি শিখরে বাংলাদেশ’, ‘পদচিহ্ন এঁকে যাই’, ‘পর্বতাভিযানে শ্বাসরুদ্ধকর পনেরো ঘণ্টা’, ‘হিমলুং শিখরে’ এবং ‘দোগারি’। এ ছাড়া কবিতার বই ‘দেবী’। এ ছাড়া ‘নুরু মিয়ার কিচ্ছা’ নামে একটি মঞ্চ নাটক লিখেছেন, তা মঞ্চস্থ করছে পদাতিক নাট্য সংসদ।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইনানি সমুদ্রসৈকত থেকে শুরু হয় ইকরামুল হাসান শাকিলের পদযাত্রা। ৯০ দিনের মধ্যে ‘সি টু সামিট’ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে অভিযান শুরু করেন তিনি। যাত্রাপথে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের প্রায় ১ হাজার ৩৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্টের ২৯ হাজার ৩১ ফুট উঁচু শিখরে আরোহণ করেন শাকিল। মোট ৮৪ দিন শেষে গত ১৯ মে এ অভিযান শেষ করেন।
আরও পড়ুন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘নির্বাচিত হাসির কবিতা’ বাংলা উপন্যাসের দুই ‘জননী’২০১৬ সালে ‘মাউন্ট কেয়াজো-রি শিখরে বাংলাদেশ’ নামে একটি বই প্রকাশ হয় শাকিলের। বইটি প্রকাশ করেছে ছায়াবীথি প্রকাশনী। ২০১৮ সালে অমর একুশে বইমেলায় শাকিলের বই ‘পদচিহ্ন এঁকে যাই’ প্রকাশিত হয়। সুদূর কলকাতা থেকে হেঁটে ঢাকা আসার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা হয় বইটি। বইটি প্রকাশ করেছে ছায়াবীথি প্রকাশনী।
Advertisement
২০১৯ সালে ‘পর্বতাভিযানে শ্বাসরুদ্ধকর পনেরো ঘণ্টা’ প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ করেছে ছায়াবীথি প্রকাশনী। বইয়ে তিনটি অধ্যায় রয়েছে। প্রথমটি ‘দ্রৌপদী-কা-ডান্ডা-২’ অভিযানের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘পর্বতাভিযানে শ্বাসরুদ্ধকর পনেরো ঘণ্টা’য় রয়েছে নেপালের ৬,২৪৯ মিটারের বা ২০,৫০০ ফুট উঁচু লারকে পর্বত শিখর অভিযানের দুঃসাহসিক গল্প। তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে ‘হিমালয় অভিযান’ শিরোনামে পর্বতাভিযানের গোড়ার কথা।
২০২২ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় ‘দেবী’। কবিতার বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা শোভা প্রকাশ। এতে মোট ৮৮টি কবিতা স্থান পেয়েছে। ২০২২ সালে রুদ্ধশ্বাস পর্বতাভিযানে বাংলাদেশের সাফল্যগাঁথা নিয়ে ‘হিমলুং শিখরে’ বইটি প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ করেছে ছায়াবীথি প্রকাশনী। ২০২৪ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ‘দোগারি’। বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনার্য। বাংলাদেশ-নেপালের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে এ অভিযান করেন বাংলাদেশ ও নেপালের আট পর্বতারোহী।
এসইউ/জিকেএস
Advertisement