জাতীয়

সুব্রত বাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা, রিমান্ড চাইবে পুলিশ

সুব্রত বাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা, রিমান্ড চাইবে পুলিশ

সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তৎপরতা এবং পরিকল্পনায় গ্রেফতার দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী, আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদসহ শুটার আরাফাত ও শরীফের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে নতুন মামলা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া কুষ্টিয়া ও রাজধানীর হাতিরঝিলে পরিচালিত সাঁড়াশি অভিযানে ৪৬ স্বতন্ত্র ইনফেন্ট্রি ব্রিগেডের একটি ইউনিট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং তাদের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতেই তাদের রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় সোপর্দ করা হয়। সেখান থেকে তাদের নিরাপত্তাজনিত কারণে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

রাতেই অস্ত্র আইনে হাতিরঝিল থানায় নতুন দায়ের করা পুলিশ বাদী মামলায় গ্রেফতার চারজনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রব্বানী হোসেন।

Advertisement

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট পরবর্তীতে রাজধানীতে হত্যা, হত্যার চেষ্টা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া কুষ্টিয়া ও ঢাকার হাতিরঝিলে পরিচালিত সাঁড়াশি অভিযানে ৪৬ স্বতন্ত্র ইনফেন্ট্রি ব্রিগেডের একটি ইউনিট দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং তাদের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগজিন, ৫৩ রাউন্ড গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন।

Advertisement

কুষ্টিয়া সদরের সোনার বাংলা রোডে সকাল সোয়া ৫টায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয় সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সকাল ৭টায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় শুটার আরাফাত ও গাড়িচালক শরীফ। আরাফাত ও গাড়িচালক শরীফ সুব্রত বাইনের সহযোগী।

কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী বলেন, চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হত্যা, চাঁদাবাজি এবং নাশকতা চালিয়ে আসছিল। সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ হলো তালিকাভুক্ত ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী দলের অন্যতম নেতা এবং সেভেন স্টার চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী। এ অভিযান ছিল দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তৎপরতা এবং পরিকল্পনার ফসল।

তিনি বলেন, অপারেশনটি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা সংঘর্ষ ছাড়াই পরিচালিত হয় যা আমাদের বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় ও সহায়তা দিয়েছে সেনা সদরের সামরিক অপারেশন পরিদপ্তর, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন, ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড, ৭১ মেকানাইজ ব্রিগেড ও এনএসআই।

আইএসপিআর পরিচালক জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, যে কোনো ধরনের সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড কিংবা সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত তথ্য অনুগ্রহ করে নিকটস্থ সেনাক্যাম্প অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করুন। আমরা আবারও দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই—সেনাবাহিনী প্রধানের সুস্পষ্ট নির্দেশনার আলোকে, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং জনগণের জানমালের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।

টিটি/এমআরএম/জেআইএম