ধর্ম

স্বামী সম্পদশালী হলে স্ত্রীর ওপর হজ ফরজ হয়?

স্বামী সম্পদশালী হলে স্ত্রীর ওপর হজ ফরজ হয়?

হজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ ও রোকন। আর্থিক ও দৈহিকভাবে সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বাইতুল্লাহর হজ করা ফরজ। (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)

Advertisement

হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, লোকসকল! আল্লাহতায়ালা তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। আকরা ইবনে হাবিস (রা.) দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! এটা কি প্রত্যেক বছর ফরজ? কিছুক্ষণ চুপ থেকে রাসুল (সা.) বললেন, আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তবে ফরজ হয়ে যেত। আর প্রতি বছর হজ করা ফরজ হলে তা তোমরা করতে সক্ষম হতে না। এ জন্য হজ জীবনে একবারই ফরজ। কেউ যদি একাধিকবার করে, তবে তা হবে নফল হজ। (সহিহ বোখারি: ৭২৮৮)

কারো যদি আর্থিক সামর্থ্য থাকে, কিন্তু দৈহিক সামর্থ্য না থাকে, তার ওপর হজ ফরজ হয় না। যেমন কারো যদি হাত, পা, চোখ ইত্যাদি অঙ্গের কোনোটি বিকল হয় বা কেউ যদি একা চলাফেরা কতে সক্ষম না হয়, তার ওপর হজ ফরজ হয় না।

নারীদের ওপর হজ ফরজ হওয়ার জন্য নারী নিজে সম্পদের মালিক হওয়া এবং হজের সফরে তার সাথে যাওয়ার মতো মাহরাম ব্যক্তি থাকা জরুরি। মাহরাম না থাকলে সম্পদশালী নারীর জন্য নিজে গিয়ে হজ করার আবশ্যকতা থাকে না। কোনো নারীর কাছে যদি শুধু নিজের হজে যাওয়ার মতো সম্পদ থাকে, কোনো মাহরামকে নিয়ে যাওয়ার মতো সম্পদ বা সুযোগ না থাকে, তাহলে তার ওপরও হজ ফরজ নয়।

Advertisement

নারী নিজে সম্পদশালী না হলে স্বামী সম্পদশালী হওয়ার কারণে তার ওপর হজ ফরজ হয় না। একইভাবে বাবা বা ভাই সম্পদশালী হওয়ার কারণেও নারীর ওপর হজ ফরজ হয় না।

স্বামীর টাকায় হজ করলে ফরজ হজ হবে?

নারী নিজে সম্পদশালী হওয়ার কারণে হজ ফরজ হলে বা হজ ফরজ না হলেও সে যদি স্বামী, বাবা বা ভাইয়ের টাকায় হজ করে, তাহলে তার ফরজ হজ আদায় হয়ে যায়।

মাহরাম ছাড়া হজ করলে হজ শুদ্ধ হবে?

ইসলামে নারীদের জন্য একা সফর করা অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা ৭৭ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার জন্য যাত্রা করা বৈধ নয়। সফরে নারীদের সাথে একজন মাহরাম বা আত্মীয় পুরুষ থাকা ওয়াজিব। রাসুল সা. বলেছেন,

لَا تُسَافِرِ المَرْأَةُ إلَّا مع ذِي مَحْرَمٍনারীরা মাহরাম ছাড়া সফর করবে না। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

Advertisement

অন্যান্য সফরের মতো মাহরাম ছাড়া নারীদের জন্য হজের সফর করাও নাজায়েজ। কিন্তু এরপরও কোনো নারী যদি মাহরাম ছাড়া হজে যায়, তাহলে তার হজ শুদ্ধ হয় এবং ফরজ হজ আদায় হয়ে যায়।

ওএফএফ/এমএস