চলতি মৌসুমের সব হারিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি সব হারিয়ে সর্বশেষ তাকিয়ে ছিল এফএ কাপের শিরোপার দিকে। শেষ পর্যন্ত এই শিরোপাও তাদের হলো না। গতকাল শনিবার ম্যানসিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইতিহাসের প্রথম বড় কোনো শিরোপা জয় করেছে ক্রিস্টাল প্যালেস।
Advertisement
ঐতিহাসিক ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৬ মিনিটে ক্রিস্টালকে লিড এনে দেন এবারেচি এজে। সিটির সেই গোল শোধ করার সুবর্ণ সুযোগ আসে, যখন বার্নার্ডো সিলভাকে টাইরিক মিচেল ফাউল করলে পেনাল্টি পায় তারা।
কোচ পেপ গার্দিওলা সহ সবাই ধরেই নিয়েছিলেন পেনাল্টি কিকটি করবেন ম্যানসিটি ফরোয়ার্ড আরলিং হালান্ড। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত বদলে ওমর মারমুশ পেনাল্টি নেন এবং তার শটটি ক্রিস্টালের গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন রুখে দেন। শেষ পর্যন্ত আর গোল শোধ করতে পারেনি সিটি। যার কারণে তাদেরকে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়।
ম্যাচের পর গার্দিওলাকে জিজ্ঞেস করা হয়, কেন পেনাল্টি নেননি হালান্ড। সংবাদ সম্মেলনে এর উত্তর দিতে পারেননি ম্যানসিটি কোচ। এ বিষয়ে তিনি অবগত নয় বলে জানান।
Advertisement
গার্দিওলা বলেন, ‘তারা মাঠেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি জানি না। আমি তাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলিনি। আমি ভেবেছিলাম হালান্ড নিজেই নেবে। এই বিষয়গুলো খেলোয়াড়দের অনুভূতির ওপর নির্ভর করে।’
তিনি যোগ করেন, ‘ওই মুহূর্তে ফ্রি-কিক বা পেনাল্টির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনুভূতির। তারা মনে করেছে ওমর (মারমুশ) প্রস্তুত ছিল পেনাল্টি নিতে। হেন্ডারসন ভালো সেভ করেছে।’
বিবিসি’র সম্প্রচারে সাবেক ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড ওয়েইন রুনি বলেন, ‘স্ট্রাইকাররা সাধারণত পেনাল্টি নেওয়ার সুযোগ ছেড়ে দেন না।’
কিলিয়ান এমবাপে ও লিওনেল মেসির চেয়ে হালান্ডকে আলাদা করে রুনি আরও বলেন, ‘আরলিং হালান্ড একজন বিশ্বমানের ফরোয়ার্ড। যদি আপনি লিওনেল মেসি বা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কথা বলেন, তারা কখনোই ওই বল ছেড়ে দিত না। এটাই ওদের হালান্ড বা এমবাপের মতো খেলোয়াড়দের থেকে আলাদা করে। ওরা (মেসি ও রোনালদো) আত্মকেন্দ্রিক — প্রতিটি ম্যাচেই গোল করতে চায়।’
Advertisement
‘যখন সে (হালান্ড) সুযোগ মিস করে, দেখা যায় সেটা ওকে প্রভাবিত করে। হতে পারে ওয়েম্বলির মত এক মঞ্চে পেনাল্টি নেওয়ার চাপটা ওর জন্য একটু বেশি ছিল। কে জানে; সে তো মানুষই।’
গার্দিওলা ও হেন্ডারসনের মধ্যে খেলার পর একটি বিতণ্ডা দেখা যায়। ক্রিস্টালের শিরোপা উদযাপনের সময় মাঠেই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। গার্দিওলা ইংল্যান্ডের গোলকিপার হেন্ডারসনকে সময় নষ্ট করার অভিযোগে তিরস্কার করেন।
গার্দিওলা বলেন, ‘সে তার অবস্থান রক্ষা করেছে, আমরা আমাদেরটা করেছি। সবাই নিজের মতো করতে পারে। আমাদের গোল করতে হতো। হেন্ডারসন ও প্যালেসকে অভিনন্দন। কারণ তারা দারুণভাবে রক্ষা করেছে এবং আমরা কোনো গোল করতে পারিনি।’
এমএইচ/