ময়মনসিংহের ভালুকায় রাতের আঁধারে কবরস্থানে পাঁচ কবর থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
শনিবার (১৭ মে) সকালে কবরের মাটি খোঁড়া দেখে কঙ্কাল চুরির ঘটনা প্রকাশ পায়। এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের লবনকৌঠা গ্রামে একটি পারিবারিক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির এ ঘটনা ঘটে।
চুরিকৃত কঙ্কালগুলো হলো, একই গ্রামের মৃত শাহ আলমের, ইয়াকুর আলীর, তোকমান মোল্লাহর, কাশেম আলীর ও রহমত আলীর।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, লবনকৌঠা গ্রামের আইয়ুব আলী মাস্টারদের পারিবারিক কবরস্থান এটি। এখানে তাদের পূর্বপুরুষদের কবর রয়েছে। সকালে স্থানীয় লোকজন কবরস্থানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি কবর খুঁড়া অবস্থায় দেখতে পান। এসময় কবরস্থানে গিয়ে দেখেন, পাঁচটি কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে।
Advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, এই পারিবারিক কবরস্থানে বহু মানুষের কবর রয়েছে। এর আগে কখনো কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেনি। চুরি হওয়া কঙ্কালগুলোর মানুষের কবরগুলো অনেক আগের। হঠাৎ কঙ্কাল চুরির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে বলেন, পাঁচটি কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় থানায় লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে ঘটনাটির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল রাত ১টার দিকে একই উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের সোনারবাংলা স্কুলের সামনে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও ভালুকার ভরাডোবা হাইওয়ে থানা পুলিশ। এসময় একটি ট্র্যাভেল ব্যাগ থেকে তিনজন মানুষের মাথার খুলি, একটি পিঠের মেরুদণ্ডসহ ৭৮টি হাড় উদ্ধার করা হয়। এসময় একজন দৌড়ে পালিয়ে গেলেও সাইফুল ইসলাম, ফারুক হোসেন ও আলমগীর হোসেন নামের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর ও শেরপুরের শ্রীবর্দীতে। তারা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের কঙ্কাল সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন বলে জানায় পুলিশ।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এমএন/এমএস
Advertisement