ইরানের মিসাইল লঞ্চার বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ‘এক তৃতীয়াংশ ধ্বংস’ করে দেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনা বাহিনী। সোমবার (১৬ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন।
Advertisement
এফি ডিফ্রিন বলেন, আমরা ইরান সরকারের ‘ভূমি থেকে ভূমিতে’ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে ব্যবহৃত যন্ত্রের এক তৃতীয়াংশই ধ্বংস করে দিয়েছি। এছাড়া তেহরানের আকাশসীমায় নিজেদের ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ অর্জনেরও দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান মোট ৩৭০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও শতাধিক ড্রোন ইসরায়েল লক্ষ করে নিক্ষেপ করে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের অন্তত ৩০টি স্থানে আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, সোমবার (১৬ জুন) সকাল পর্যন্ত এ হামলায় দেশটিতে অন্তত ২৪ জন নিহত ও ৫৯২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Advertisement
এদিকে, ইসরায়েলের তেল আবিব শহরে মার্কিন দূতাবাসের কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাস ভবনের কাছে ‘ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে’ সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন কর্মীদের কোনো আঘাত লাগেনি ও জেরুজালেম এবং তেল আবিবে দেশটির দূতাবাস ও কনস্যুলেট সোমবার (১৬ জুন) বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত শনিবারও কঠিন সময় পার করেন হাকাবি। ওই সময় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার রাতটিকে উত্তেজনাপূর্ণ এবং কঠিন বলে জানান তিনি। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি জানান, সারারাত ধরে তাকে পাঁচবার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা, সিএনএন
Advertisement
এসএএইচ