কেউ একজন খুব বেশি ভাল খেলবেন। আর বাকিরা ব্যর্থতার মিছিলে অংশ নেবেন। এ যেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দল আর ‘এ’ দলের নিত্যদিনকার চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
এর আগে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের সঙ্গে রাজশাহীতে অনবদ্য শতরান করলেন আকবর আলী। তার দারুন শতরানেও শেষ রক্ষা হয়নি। বাকি কেউ রান করতে না পারায় দল হেরেছে ১০ রানে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিার সিলেটে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের সাথে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অবস্থাও তাই। সব ব্যাটারের ব্যর্থতার দিনে একা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে ওয়ানডে মেজাজ ও স্টাইলে দুর্দান্ত শতক উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
৮৮ বলে ১১ টি বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ১০৭ রানের অসামান্য ইনিংসটির পর নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের প্রথম ইনিংসে করা ২৫৬ রানের জবাবে এখনো ৭ রানে পিছিয়ে স্বাগতিক ‘এ’ দল। দ্বিতীয় দিন শেষে ‘এ’ দলের টাইগারদের স্কোর ৮ উইকেটে ২৪৯।
Advertisement
আগের দিন পেসার খালেদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে আড়াইশো পেরিয়ে সব উইকেট হারায় কিউই ‘এ ’ দল। সর্বাধীক ৮১ রান আসে উইকেট কিপার মিচেল হয়ের ব্যাট থেকে। এরপর মাঠে নেমে ডিন ফক্সক্রফ্ট করেন ৪৭। মূলতঃ লেট মিডল অর্ডাররাই নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে ম্যাচে ধরে রাখেন।
খালেদ আর এনামুলের বারুদ মাখা ফাস্ট বোলিংয়ের তোপ সামলাতে পারেনি কিউই টপ ও মিডল অর্ডার। ১০১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। ওই খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে মিচেল হয়, ফক্সক্রফট সপ্তম উইকেটে ৯৮ রান জুড়ে রান ২০০ পার করে দেন। খালেদ ৫৯ রানে ৬ আর এনামুল ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করেন।
২৫৬ রানে কিউই ‘এ’ দলকে বেঁধে ফেলার পর বাংলাদেশ ‘এ’ দলেরও শুরুটা ভাল হয়নি। ওপেনার এনামুল হক বিজয় (২৪), জাকির হাসান (১২), মাহমুদুল হাসান জয় (১৮) আর অমিত হাসান (২৫) আউট হলে ৮১ রানে খোয়া যায় ৪ উইকেট।
সেই বিপর্যয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। পঞ্চম উইকেটে মাহিদুল ইসলাম অংকনকে সাথে নিয়ে সোহান বিপর্যয় কাটিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ১৩২ রান তুলে দেন। যাতে অংকনের অবদান ছিল মাত্র ২৫ রান। ৭৯ বলে ইনিংসটি সাজান অংকন।
Advertisement
বাকি রান আসে সোহানের ব্যাট থেকে। এরপর নাইম হাসানের ব্যাট থেকে আসে ২০ রানের আরেক ইনিংস। এরপর খালেদ শূন্য রানে ফিরে যান। বাঁ-হাতি হাসান মুরাদ ১৩ আর পেসার এবাদত ১ রানে ব্যাট করছেন। নিউজিল্যান্ড বোলারদের মধ্যে পেসার জসুয়া এন্ড্রিক ক্লার্কসন একাই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ৪ উইকেটের পতন ঘটান।
এআরবি/আইএইচএস