রাজনীতি

মানবিক করিডোর নিয়ে জনগণ অন্ধকারে: হাফিজ

মানবিক করিডোর নিয়ে জনগণ অন্ধকারে: হাফিজ

মানবিক করিডোর নিয়ে জনগণ ও রাজনৈতিক দল অন্ধকারে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। একই সঙ্গে করিডোরের কারণে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা জানান।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, কোনো আগ্রাসনে জড়িত না হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই দুর্বল সরকারের পেছনে জনগণ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চাইলেও সরকার এখনো নির্বাচনের পথে যায়নি।

বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে দিল্লির কাছে এমনভাবে আত্মনিবেদন করেছিলেন, সে আত্মনিবেদন থেকে তিনি ফিরে আসতে চাননি। তিনি সেটা করলেন এবং তার ইফেক্ট শুরু হয়েছে। এর যে বর্জ্য নদীতে পড়ছে, দিনকে দিন নদীগুলোর পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে আমরা ভয়ঙ্করের এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি।

Advertisement

আরও পড়ুন

একদিন আপনি চলে যাবেন, জনপদ হুমকির মুখে ফেলবেন না রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ, শর্ত প্রকাশের দাবি

তিনি বলেন, ন্যাশনাল ইন্টারেস্টে যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কথা বলেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, একটা স্টাইল হয়েছে যে, ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বললে সে বোধহয় পশ্চাৎপদ, সে বোধহয় আধুনিক নয়, সে প্রগতিশীল থাকবে না- এরকম প্রবণতা খুব পরিকল্পিতভাবে মাইন্ডসেট চালানো হয়েছে। আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে অনেকের মধ্যে এই প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু এ দেশে ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে এই শব্দগুলো ব্যবহার করেছে বামপন্থিরা। কিন্তু এখন সেভাবে তারা সোচ্চার নেই।

তিনি বলেন, ফারাক্কা বাঁধ চালুর বিষয় শেখ মুজিবকে জানানো হয়েছিল যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। তখন শেখ মুজিব অনুমতি দিলেন। সর্বনাশ সেদিনই হয়ে গেছে। এরপর আর তারা (ভারত) মনেই করেনি বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলা দরকার।

Advertisement

কেএইচ/ইএ/এমএস