‘নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়)’ প্রকল্প থেকে ৮৪ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচ মাসের বেতন-ভাতা বাদ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্প থেকে বেতন-ভাতা বাদ দেওয়ায় পরিকল্পনা কমিশনের সামনে মানববন্ধন করেছেন এই প্রকল্পের শিক্ষক-কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে প্রকল্পের এসব দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরেরও দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
Advertisement
শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধন করে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়,ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ প্রকল্পটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাস্তবায়ন করে আসছে। প্রকল্পটি ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হয়ে ধারাবাহিকভাবে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ম পর্যায় সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে প্রকল্পটির শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার লক্ষে সরকারি অর্থায়নে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ও শিক্ষা সহায়ক উপকরণ মুদ্রণ ও সরবরাহ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আলোকে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন ফের আন্দোলনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক আজ থেকে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরাতারা স্মারকলিপিতে আরও জানান, গত বছরের ১৯ আগস্ট ধর্ম উপদেষ্টা প্রকল্পের বিদ্যমান জনবলকে রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার আশ্বাস দেন। ওই ঘোষণার বাস্তব অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। এছাড়া গত ১৪ মে পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি যে, গত ৫ মাসের বেতন-ভাতা বাদ দিয়ে প্রকল্প অনুমোদনের তারিখ থেকে বেতন-ভাতা দেওয়া হবে। এতে প্রকল্পে কর্মরত ৮৪ হাজার শিক্ষক, কেয়ারটেকার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। গত ঈদুল ফিতরেও প্রকল্পের জনবল ও শিক্ষক-কেয়ারটেকারদেরকে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি। বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে সবাই মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আলোকে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছেন। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে তাদের বেতন-ভাতা দেওয়া না হলে সারাদেশে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হবে।
Advertisement
শিক্ষক-কর্মচারীরা এসময় যেসব দাবি জানান- জানুয়ারি-২০২৫ থেকে প্রকল্প অনুমোদন করতে হবে এবং ঈদুল আজহার পূর্বেই সবার বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে। প্রকল্পে ৩য় থেকে ৭ম পর্যায় পর্যন্ত কর্মরত বিদ্যমান জনবলকে রাজস্ব খাতভুক্ত করতে হবে। ৭ম পর্যায় প্রকল্পের বিদ্যমান জনবলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৮ম পর্যায় প্রকল্পে স্থানান্তর করতে হবে। কেয়ারটেকার ও কর্মীদের স্কেলভুক্ত করতে হবে। শিক্ষকদের সম্মানী-ভাতা বাড়াতে হবে।
এমওএস/এএমএ/এএসএম