আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ও এর সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচিতে যমুনা বা শাহবাগ ঘেরাওয়ে সর্বশক্তি নিয়ে উপস্থিত ছিল জামায়াত-শিবির। জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ, এখন তাদের পাকিস্তানপন্থি বলে চালিয়ে দাও।
Advertisement
সোমবার (১২ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন রাশেদ।
তিনি বলেন, আ. লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচিতে যমুনা বা শাহবাগ ঘেরাওয়ে সর্বশক্তি নিয়ে উপস্থিত ছিল জামায়াত-শিবির। জাশি ও এনসিপির নেতাদের একসঙ্গে বসে ও দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। অন্যান্য ইসলামিক দলেরও ভালো সাপোর্ট ছিল। আমার ধারণা যমুনা ও শাহবাগে ঘেরাওয়ে ৬০ শতাংশ বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতাকর্মী ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল। আরও বেশিও হতে পারে। মূলত তারা উপস্থিত না হলে আন্দোলনটা জমতো না।
আরও পড়ুন
Advertisement
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, আন্দোলন আংশিক সফল হওয়ার পরে কেন যেন, এনসিপির নেতারা জামায়াত-শিবিরের তকমা থেকে বের হতে চাচ্ছে। কিন্তু সরাসরি এনসিপির কমিটিতেই শিবিরের বেশ কয়েকজন নেতা আছে। যারা বিরুদ্ধে বলছে, তাদের কেউ কেউ শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। যাইহোক, এখন রাজনীতি করতে গেলে তাদের প্রগতিশীল হয়ে উঠতেই হবে!
ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টে রাশেদ খাঁন আরও বলেন, কোনো কোনো মহল থেকে অভিযোগ আসছে, শাহবাগের প্রতিশোধ নিয়েছে জামায়াত শিবির! আমি সেভাবে বলতে চাই না। কারণ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোরালো দাবি জনগণের পক্ষ থেকে আছে। তাদের প্রশ্ন, যমুনার আন্দোলন কেন শাহবাগে গেলো?! যাইহোক, জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ, এখন তাদের পাকিস্তানপন্থি বলে চালিয়ে দাও। এবারের ঘটনা থেকে জাশির যদি ন্যূনতম শিক্ষা হয়, তবে ডাক দিলেই আর আগের মতো দৌড় দিবে না। আর যদি তারা মনে করে, চড় মেরে ক্ষমা চাইলেও সব ক্ষমা করে দেওয়া যায়, তবে আবার ডাক আসলে, তারা আবার জনশক্তি নিয়ে হাজির হয়ে যাবে....! আর যদি তাদের রাজনীতির উদ্দেশ্যই হয় অন্যের আহ্বানে জনশক্তি সরবরাহ করা, তবে এক্ষেত্রে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
এএএম/এএমএ/জেআইএম
Advertisement