শিক্ষা

শিক্ষকদের চরম অবহেলিত রেখে মানসম্মত শিক্ষা চাওয়াটাও উপহাস

শিক্ষকদের চরম অবহেলিত রেখে মানসম্মত শিক্ষা চাওয়াটাও উপহাস

দেশের শিক্ষকদের ‘চরম অবহেলায় রাখা হয়েছে’ অভিযোগ করে তাদের থেকে ‘মানসম্মত শিক্ষা চাওয়াটা উপহাস ছাড়া কিছুই নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।

Advertisement

তিনি বলেন, দেশের প্রাথমিক থেকে কলেজ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষকরা চরম অবহেলতি। তাদের জীবনমান পরিবর্তনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা এখন পর্যন্ত কেউ নেয়নি। মানবেতর জীবনযাপন করা এসব শিক্ষকদের কাছে উন্নত দেশের মতো মানসম্মত শিক্ষা আশা করাটা উপহাস ছাড়া কিছুই নয়।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তর আয়োজিত ‘ট্রেনিং ফর টিচার্স অন রিসার্চ ম্যাথোডলজি’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অধিভুক্ত ৪০টি কলেজের ৪০ জন শিক্ষক অংশ নেন।

অধ্যাপক ড. আমানুল্লাহ বলেন, কলেজগুলোর শিক্ষার কোয়ালিটি উন্নয়ন করতে না পারলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি উন্নত করা সম্ভব না। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি উন্নয়নের পূর্বশর্তই হচ্ছে কলেজ শিক্ষার মানোন্নয়ন।

Advertisement

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার গুণগত মান তলানিতে পড়ে আছে। এর পেছনে যথেষ্ট যৌক্তিক কারণও রয়েছে। দেশের কলেজগুলোর বৃহত্তর সংস্কার ছাড়া, উচ্চশিক্ষা সংস্কারে আশানুরূপ কোনো ফলাফল আসবে না।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিভুক্ত ২৫০টি কলেজকে মডেল কলেজ হিসেবে নির্বাচন করা হবে। শতবর্ষী কলেজগুলোকে চিহ্নিত করে গবেষণার কাজে মনোনিবেশ করতে যাচ্ছি আমরা। পর্যায়ক্রমে সব কলেজকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কলেজের স শিক্ষকের গবেষণার ওপর প্রাথমিক জ্ঞান নিশ্চয়ন করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো মোখলেস উর রহমান। তিনি বলেন, রিসার্চ ম্যাথোডলজি নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে তা যুগান্তকারী। এ সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে সহযোগিতার জন্য মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।

Advertisement

এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে রিসার্চ পারসন হিসেবে অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. শাহ এহসান হাবীব এবং মাসুম বিল্লাহ, কানাডা থেকে যোগ দেন ড. জালাল উদ্দীন।

এএএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম