প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনসহ ৭ বিষয়ে একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট। বৃহস্পতিবার (৮ মে) পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংস্কার, নির্বাচন ও নারী কমিশনের প্রস্তাব এবং দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়।
Advertisement
এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। ইসলামী ঐক্যজোটের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদের।
মতবিনিময় সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়১. জাতীয় নির্বাচনে সম্মিলিতভাবে আসনভিত্তিক একক প্রার্থী ও এক বক্স দেওয়ার বিষয়ে কৌশলগত ঐকমত্য পোষণ।২. আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র তৈরির ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানো। যাতে আগামীতে ফ্যাসিবাদ কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে।৩. প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান।৪. গণহত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।৫. আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তি পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।৬. নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা বাতিল।৭. জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করা।
সভায় ইসলামী ঐক্যজোটের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন-সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা জোনায়ের আহমাদ, মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, মুফতী শামসুল আলম, মাওলানা জুনায়েদ গুলজার, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা মাসরূর আহমাদ।
Advertisement
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতী রেজাউল করীম আবরার প্রমুখ।
এএএম/এমআইএইচএস/জেআইএম