কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, বাংলাদেশের আম অত্যন্ত সুস্বাদু। সারা পৃথিবীতে আমের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেই চাহিদা কাজে লাগিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানির প্রচেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২৮ মে প্রথমবারের মতো চীনে ৫০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হচ্ছে।
Advertisement
এছাড়া চীনে বাংলাদেশস্থ দূতাবাসের মাধ্যমে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে আম রপ্তানির জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। আমের পাশাপাশি কাঁঠাল রপ্তানি করার জন্যও যোগাযোগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শুধু চীন নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সুস্বাদু আম রপ্তানির প্রচেষ্টা চলছে।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সারাদেশে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২৭ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে মোট আমের উৎপাদন ছিল ২৭ লাখ মেট্রিক টন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। মোট উৎপাদনের বিপরীতে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ৩ হাজার ১০০ মেট্রিক টন ও ২০২৩-২০২৪ কত বছরে ১ হাজার ৩২১ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়।
Advertisement
প্রতিবছর গড়ে ২৪/২৫ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হলেও রপ্তানি হয় মাত্র এক থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আম রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নতুন বাজার খোঁজার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশক্রমে কৃষি মন্ত্রণালয় আম রপ্তানির জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাজার খোঁজা হচ্ছে বলে জানান কৃষি সচিব।
এমইউ/এমআইএইচএস
Advertisement