ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে অগ্রগতি জানতে ঢাবি উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
Advertisement
বুধবার (২১ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অফিস সংলগ্ন অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাবি উপাচার্য ছাড়াও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম ও অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদ এবং স্যার পি. জে. হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক এম এ কাউসারসহ অনেকে।
সাদা দলের নেতারা জানান, সাম্য হত্যার প্রকৃত খুনিকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন সাদা দলের নেতৃবৃন্দ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকৃত খুনিকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তারা। এরই মধ্যে আলটিমেটামের সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের অগ্রগতি জানতে তারা ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
Advertisement
প্রায় দুই ঘণ্টার এ বৈঠকে ঢাবি উপাচার্য জানান যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
তিনি আরও জানান যে, সাম্য হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করা হবে। এ সম্পর্কে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আন্তরিকতার কথাও উল্লেখ করেন। এরই মধ্যে আরও ৩ জন আসামিসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনারের (ডিএমপি) সঙ্গে ঢাবি ভিসি বৈঠক করবেন বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, সাম্য আমাদের শিক্ষার্থী, আমাদের সন্তান। সন্তান হত্যার বিচার হতেই হবে। সাম্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা। সাধারণ মানুষের পক্ষে এভাবে হত্যা করা সম্ভব নয়। এই হত্যার প্রকৃত খুনিকে খুঁজে বের করার জন্য আমরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। আমাদের আলটিমেটামের সময় শেষ হয়েছে। আপডেট জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আমাদের বৈঠক হয়। আমরা আমাদের কথা জানিয়ে এসেছি। যদি তাদের ব্যবস্থায় আমরা সন্তুষ্ট না হতে পারি তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। এ বিষয়েও আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
Advertisement
এফএআর/এমআইএইচএস