রাজনীতি

তরুণদের নীতি প্রণয়নে যুক্ত করতে বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু

তরুণদের নীতি প্রণয়নে যুক্ত করতে বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু

বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তরুণ সমাজকে সরাসরি নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে মাসব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে দলটি। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ আয়োজনে দেশের চারটি বিভাগীয় কেন্দ্রে ধারাবাহিকভাবে সেমিনার ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

এই উদ্যোগের প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে ৯ মে (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামের চট্টেশ্বরী রোডের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার দিয়ে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশ্লেষক আব্দুল্লাহ্-আল-মামুন, শিক্ষক জামাল উদ্দিন, নাহরিন খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ, ওরাকলের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ম্যানেজার মুনতাসির মুনীর, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ, ইউনিভার্সিটি অব ডালাসের শিক্ষক শাফকাত রাব্বী এবং পাঠাও সিইও ফাহিম আহমেদ।

পরদিন ১০ মে চট্টগ্রামেই অনুষ্ঠিত হবে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বিশেষ সমাবেশ।

Advertisement

এই ধারাবাহিক কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বে ১৬ মে খুলনায় হবে ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার। ১৭ মে হবে সমাবেশ।

তৃতীয় পর্বে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ২৩ ও ২৪ মে বগুড়ায় আয়োজিত হবে আলোচনা ও সমাবেশ।

চূড়ান্ত পর্ব হবে রাজধানী ঢাকায়—২৭ ও ২৮ মে। এখানে অংশ নেবেন ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধি তরুণরা।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সেমিনারগুলোতে দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, গবেষক, চিন্তাবিদ, উদ্যোক্তা ও অ্যাক্টিভিস্টরা অংশ নেবেন। আলোচনা থেকে উঠে আসা ভাবনা ও প্রস্তাবনা সংকলিত হয়ে ভবিষ্যতের নীতিগত রূপরেখায় প্রতিফলিত হবে।

Advertisement

এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের ভাবনা, প্রত্যাশা ও অভিজ্ঞতার আলোকে একটি আধুনিক, মানবিক ও নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনের জন্য জাতীয়তাবাদী রূপরেখাকে আরও প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর করে তোলা।

কর্মসূচির প্রতিটি আয়োজনে গুরুত্ব পাচ্ছে কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ, প্রযুক্তি এবং রাজনৈতিক অধিকারসহ নানা বিষয়।

কেএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম