বগুড়ার ধুনট উপজেলার সরকারি মথুরাপুর হাট-বাজারে ১৩ দিন পর আবারও কসাইখানায় গরু-ছাগল জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
Advertisement
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল থেকে বাজারে ব্যবসায়ীরা মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেন। ফলে বাজারে মাংস কিনতে না পেরে ক্রেতাদের অনেকেই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ গরুর মাংসের পরিবর্তে মুরগি কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মথুরাপুরে শুক্র ও সোমবার হাটসহ প্রতিদিন সকাল-বিকেল বাজার বসে। ওই হাট-বাজারের কসাইখানায় গরু-ছাগল জবাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন ধরে বাজারের কসাইখানায় মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চোরাই, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। গরু কেনার কোনো রসিদও দেখাতে পারেন না তারা। ফলে শর্ত মেনে ব্যবসায়ীদের গরু জবাই ও মাংস বিক্রি করতে বলেন স্থানীয়রা।
এরআগে অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদে ২২ এপ্রিল কসাইখানায় গরু জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় হাটের ইজারাদার ও মাংস ব্যবসায়ীরা সমঝোতা করে একদিন পর মাংস বিক্রি শুরু করেন। উপজেলার মথুরাপুর হাট-বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আজিবর রহমান বলেন, স্থানীয়রা যেসব শর্ত জুড়ে দিয়েছেন, তাতে গরু জবাই ও মাংস বিক্রি করে লোকসান গুনতে হবে। এ কারণে গরু-ছাগল জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধ করেছি।
Advertisement
পরিবারের জন্য গরুর মাংস কিনতে বাজারে এসেছিলেন স্থানীয় খাদুলী গ্রামের দুলাল হোসেন। তিনি বলেন, গরুর মাংস কিনতে বাজারে এসেছি কিন্তু কোথাও গরুর মাংস নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থানীয়দের শর্ত মেনে ব্যবসা করতে পারবেন না। তাই তারা মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। আমাকে বাধ্য হয়েই মোরগ কিনতে হয়েছে।
ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বলেন, মাংস ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এসআর/এএসএম
Advertisement