বিনোদন

যেখানে নিষিদ্ধ পেঁয়াজ-রসুন, স্বামী-স্ত্রী বসতে পারেন না একসঙ্গে

যেখানে নিষিদ্ধ পেঁয়াজ-রসুন, স্বামী-স্ত্রী বসতে পারেন না একসঙ্গে

বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল ফ্যাশন ইভেন্ট ‘মেট গালা’ নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। এ আয়োজনের রঙিন পোশাক, সেলিব্রিটি উপস্থিতি, থিমভিত্তিক আয়োজন- সবকিছু নিয়েই আলোচনার ঝড় ওঠে। কিন্তু এই জমকালো আয়োজনের ভেতরে লুকিয়ে আছে এমন কিছু ‘অদ্ভুত’ নিয়ম যেগুলো জানলে অবাক হতেই হয়।

Advertisement

পেঁয়াজ-রসুন নিষিদ্ধ!মেট গালায় কোনো খাবারে ব্যবহার করা যায় না পেঁয়াজ ও রসুন। আয়োজকদের যুক্তি, এসব উপাদানে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। আর মুখের দুর্গন্ধ হাই-প্রোফাইল অতিথিদের জন্য বিব্রতকর হতে পারে।

স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসতে পারেন না

মেট গালার নৈশভোজে কোনো দম্পতি একসঙ্গে বসতে পারেন না। উদ্দেশ্য হলো সবার সঙ্গে সবাইকে মেশানো। আয়োজকেরা চান অতিথিরা যেন নতুন মানুষের সঙ্গে আলাপ-পরিচয়ে উৎসাহী হন। তাই স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকাদের বসতে হয় আলাদা টেবিলে।

কেউ চাইলে ছবিও তুলতে পারে না

২০১৫ সাল থেকে মেট গালায় ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিশেষ করে ভেতরের অংশে ফোন ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কারণ আয়োজকেরা চান সবাই যেন ইভেন্টটা উপভোগ করেন। ছবি তুলতে ব্যস্ত থাকলে অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন কখন!

Advertisement

বয়স হতে হবে অন্তত ১৮

মেট গালায় ১৮ বছরের নিচে কেউ অংশ নিতে পারে না। এই নিয়মটি চালুও হয় ২০১৮ সালে। ইভেন্টের পরিপক্বতা বজায় রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

খাবারেও আছে স্টাইল!

মেট গালায় খাবার শুধু সুস্বাদু হলেই চলবে না দেখতেও হতে হবে দৃষ্টিনন্দন। প্লেটে রঙের ভারসাম্য, উপস্থাপনার শৈলী- সবকিছুই বিচার্য। এমনকি খাবারের মেন্যু যেন ইভেন্টের থিমের সঙ্গে মানানসই হয় সেটাও মাথায় রাখতে হয় আয়োজকদের।

এই কঠিন অথচ রুচিশীল নিয়মগুলোর পেছনের যুক্তি প্রমাণ করে, মেট গালা শুধু ফ্যাশন শো নয় বরং এক অনন্য অভিজাত অভিজ্ঞতার বর্ণাঢ্য আয়োজন।

গেল সোমবার রাতে নিউ ইয়র্কে বসেছে মেট গালার এবারের আসর। সেখানে সারা দুনিয়ার নামকরা সব তারকারা হাজির হয়েছেন বর্ণিল সাজ পোশাকে। এবার জমকালো ফ্যাশনের আলো ছড়িয়েছেন রিয়ানা, হ্যালি বেরি, কার্ডি বি, টেসা থম্পসন, কিম কার্দাশিয়ান, ডেমি মোরসহ আরও অনেকে। বলিউডের মধ্যে প্রথমবারের মতো মেট গালায় পা রেখে ইতিহাস গড়েছেন শাহরুখ খান, দিলজিৎ দোসাঞ্জ, কিয়ারা আদভানি। আরও ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ারা।

Advertisement

এলআইএ/এমএস