জাতীয়

চট্টগ্রামের পোশাক কারখানায় তৈরি হচ্ছিল কুকি-চিনের ইউনিফর্ম

চট্টগ্রামের পোশাক কারখানায় তৈরি হচ্ছিল কুকি-চিনের ইউনিফর্ম

চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানা থেকে বান্দরবানের পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্টি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ২০ হাজার তিনশ সেট ইউনিফর্ম জব্দ করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

Advertisement

৬ দিন আগে গত ১৭ মে রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন নয়ারহাট রিংভো অ্যাপারেলস নামের পোশাক কারখানা এবং সন্নিকটের মুজাফফরনগর আবাসিক এলাকায় ওই কারখানার গোডাউন থেকে এসব ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি এসব ঘটনায় জড়িত পোশাক কারখানার মালিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

পরের দিন ১৮ মে এই ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করা হয়। নগর গোয়েন্দা উত্তর-দক্ষিণ বিভাগের এসআই মো. ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে জব্দ ইউনিফর্মগুলো পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বলে উল্লেখ করা হয়। দুই কোটি টাকার চুক্তিতে ইউনিফর্মগুলো প্রস্তুতের ফরমাশ নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে পুলিশ গোপনীয়তার আশ্রয় নিলেও রোববার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গ্রেফতার তিনজন হলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানাধীন খাগরিয়া আমিরখিল গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে সাহেদুল ইসলাম (২৫), চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন দৌলতপুর গ্রামের মো. আব্বাস উদ্দিনের ছেলে গোলাম আজম (৪১) এবং চট্টগ্রামের পটিয়া থানাধীন দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের কাজী বাড়ির মো. নুর বক্সের ছেলে নিয়াজ হায়দার (৩৯)।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সাহেদুল ইসলাম কারখানার মালিক। অন্যদুজন পোশাকগুলো তৈরির ফরমাশ দিয়েছিলেন। মামলায় গ্রেফতার তিনজন ছাড়াও রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের মংহলাসিন মারমা (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

এদিকে পুলিশ মামলা করলেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে রাজি হয়নি। একাধিকবার যোগাযোগ করে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান ও মামলার বাদী এসআই ইকবাল হোসেনসহ সিএমপির কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত মার্চে ইউনিফর্মগুলো কারখানাটিতে অর্ডার দিয়েছিলেন গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। তারা মংহলাসিন মারমা ওরফে মং নামে একজনের কাছ থেকে দুই কোটি টাকা চুক্তিতে ইউনিফর্মগুলো তৈরির ফরমাশ নেন। চলতি মাসে পোশাকগুলো সরবরাহের কথা ছিল।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, নিষিদ্ধ সংগঠন কেএনএফের সদস্যরা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলার বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র অবস্থান করে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, হত্যা, অপহরণ, গুমসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে। গ্রেফতার ও অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে অবৈধভাবে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।

Advertisement

এমডিআইএইচ/এমএসএম