আবারও পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) থেকে ক্রিকেটার নিয়ে এসেছে আইপিএল। পেশোয়ার জালমির ক্রিকেটার অলরাউন্ডার মিচেল ওয়েনকে দলে ভিড়িয়েছে পাঞ্জাব কিংস। অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বদলি হিসেবে তাকে দলে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
Advertisement
আঙুলের চোটে আইপিএলের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেছেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ম্যাক্সওয়েল। আজ রোববার আরেক অসি তারকা ওয়েনকে বদলি ঘোষণা করলো পাঞ্জাব।
অবাক করার বিষয় হলো, পাঞ্জাব এমন একজন খেলোয়াড়কে বেছে নিয়েছে যিনি চলতি মৌসুমে পিএসএলে তার দল পেশোয়ারের এখন পর্যন্ত খেলা ৭ ম্যাচের সবগুলোতেই একাদশে ছিলেন। অর্থাৎ এই খেলোয়াড় পিএসএলের মাঝপথেই দল ছেড়ে ভারতে আসছেন।
২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার মিচেল ওয়েন এখন পর্যন্ত ৩৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২৫.৮৪ গড়ে ৬৪৬ রান করেছেন, যার মধ্যে ২টি সেঞ্চুরি রয়েছে। এছাড়াও বোলার হিসেবে তার ঝুলিতে আছে ১০ উইকেট।
Advertisement
পাঞ্জাব ওয়েনকে অন্তর্ভুক্ত করতে ৩ কোটি টাকা খরচ করেছে। আইপিএলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মিচ ওয়েন ৩ কোটি টাকায় পিবিকেএস-এ যোগ দেবেন।’
আবার শোনা যাচ্ছে, পিএসএলের প্রতিশ্রুতি শেষ করার পরেই নাকি ওয়েন পাঞ্জাব কিংসে যোগ দেবেন। পেশোয়ার ৯ মে তাদের শেষ লিগ পর্বের খেলা খেলবে। যদি তারা প্লে-অফে যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ১১ মে ধর্মশালায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ওয়েন পাঞ্জাবে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
আর যদি পেশোয়ার প্লে-অফে যেতে পারে, প্লে-অফের আগে ওয়েন দলের জন্য উপলব্ধ থাকবেন না। এখন কথা হল, এমন প্লেয়ারকে কেন দলে নিলো পাঞ্জাব?
কারণ একটাই, পারফরম্যান্স।
Advertisement
এই বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিগ ব্যাশ লিগে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় হোবার্ট হ্যারিকেনস। দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে মিচেল ওয়েনের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। ফাইনালে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এবং ২৫৭ স্ট্রাইক রেটে ৪২ বলে ১০৮ রান করে দল জেতান।
এই শতরানের ইনিংসে ১০ ছক্কা এবং ৫ চার মারেন ওয়েন। ফাইনালে সিডনির ১৮৩ রানের লক্ষ্য দিলে ওয়েনের বিস্ফোরক ইনিংসের উপর ভিত্তি করে হোবার্ট মাত্র ১৪.১ ওভারে তাড়া করে জিতে নেয়। এজন্যই পিএসএল ও আইপিএলে ওয়েন অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে বাবর আজমের দল পেশোয়ার ছেড়ে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দিয়েছিলেন করবিন বোশ। পরে দক্ষিণ আফ্রিকান এই অলরাউন্ডারকে ১ বছরের নির্বাসিত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
এমএইচ/এমএস