সাগরে মাছ সব ধরনের শিকারে নিষেধাজ্ঞার দুই সপ্তাহ পরও সরকারি চাল পাননি ভোলার ৬৫ হাজার নিবন্ধিত জেলে। এতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন জেলেরা।
Advertisement
বিভিন্ন মৎস্য ঘাটে সরেজমিনে জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল থেকে সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার আগে ফিশিং বোট নিয়ে তীরে ফিরে এসেছেন জেলার সাত উপজেলার লক্ষাধিক জেলে। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর তীরে ঘাটে ফিশিংবোট বেঁধে রেখেছেন তারা। অনেকে জাল ও বোট মেরামত করছেন
জেলার চরফ্যাশনের চর মাদ্রাসজ ইউনিয়নের মোসলেউদ্দিন মাঝি বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে সাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করি। নিষেধাজ্ঞার সময় রোজগার বন্ধ থাকায় সংসার চালাতে কষ্ট হয়। ১৫ এপ্রিল থেকে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। ১৬/১৭ দিন পার হয়ে গেলেও সরকারি চাল পাইনি।
আরও পড়ুন
Advertisement
সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের মো. গিয়াস উদ্দিন মাঝি বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে সাগরে মাছ শিকার করি। প্রকৃত জেলে হলেও এখনো নিবন্ধন হয়নি। অনেকবার মৎস্য অফিস ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছি। কিন্তু তারা শুধু আশ্বাস দিয়েছেন জেলে নিবন্ধন কার্ড করে দেয়নি।
চরফ্যাশন উপজেলার চার মাদ্রাজ ইউনিয়নের মো. আকবর মাঝি বলেন, বিগত বছরগুলোতে জেলে কার্ড করেছে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। মৎস্য বিভাগের লোকজন জেলেদের কাছে আসেনি। যার কারণে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা দলীয়করণ করেছেন। এতে করে হাজার হাজার প্রকৃত জেলে সরকারি নিবন্ধন থেকে বাদ পড়েছেন।
দৌলতখান উপজেলার চৌকিঘাটা এলাকার জেলে মহসিন মাঝি বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় আমরা সাগরে যেতে পারি না। এসময় তো আমাদের আয় রোজগার বন্ধ থাকে। তাহলে কিস্তির টাকা পরিশোধ করবো কিভাবে?
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ১৫ এপ্রিল থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। এটি চলবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত। তবে নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের নামে সরকারিভাবে চাল বরাদ্দ এখনও দেওয়া হয়নি।
Advertisement
আরএইচ/জিকেএস