নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। দিনভর বৃষ্টির পর রাতে জোর কিছুটা কমলেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মতো রামপুরা ও খিলগাঁও এলাকার অনেক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। শুক্রবার (৩০ মে) সকালেও সেসব এলাকার অলিগলির অনেক সড়কের পানি নামেনি।
Advertisement
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সকাল থেকে কাজে যাওয়া মানুষ। অনেক এলাকায় দোকানপাটে ঢুকেছে পানি, যা সকালে পরিষ্কার করতে দেখা গেছে।
তবে ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তাঘাটে মানুষের চলাফেরা ছিল অনেকটাই কম। শুক্রবার সকাল থেকেও বৃষ্টি হওয়ার কারণে নতুন করে জলাবদ্ধতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন নিউমার্কেটে হাঁটুপানি, জনজীবনে ভোগান্তিরামপুরা ও খিলগাঁও এলাকায ঘুরে দেখা গেছে, পশ্চিম রামপুরার উলন, পূর্ব রামপুরার জামতলা, জাকির গলি, তালতলার কিছু অংশ, নবীনবাগ সেহেরুনবাগ এলাকার অনেক রাস্তার পানি এখনো নামেনি। তবে রাস্তাঘাটে গাড়ির সংখ্যা কম হওয়ার কোথাও যানজট দেখা যায়নি।
Advertisement
ওইসব এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার পানি অনেকটা কমলেও জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন হয়নি। শুক্রবার সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে আরও জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন তারা।
এদিকে, পথচারীদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতা ও বৃষ্টির কারণে রিকশা ভাড়া দ্বিগুণ-তিনগুণ বেড়ে গেছে। জলাবদ্ধতায় বিভিন্ন সড়কে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন চালকরা।
জামতলা এলাকায় মায়ের দোয়া নামের একটি গ্যারেজে পানি ঢুকেছে। সেটা পরিষ্কার করছিলেন শাকিব। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে এ এলাকায় পানি জমে যায়। কাল প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারণে দোকানের ভেতর পানি চলে এসেছে। রাতে দোকান বন্ধ ছিল, সকালে পরিষ্কার করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন ঢাকায় ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি ঝরেছে ১৯৫ মিলিমিটারওই এলাকার ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, আবাসিক এলাকার বেশিরভাগ সড়কে পানি। গতকাল পানি ছিল হাঁটু সমান, তবে সারারাতে তা কিছুটা কমেছে।
Advertisement
নবীনবাগ থেকে তালতলা সড়ক পর্যন্ত সড়কেও প্রায় হাঁটুপানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এসময় জলাবদ্ধতার কারণে অসংখ্য ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাস বিকল হয়ে রাস্তায় থেমে থাকতে দেখা যায়।
এনএইচ/এমকেআর/জিকেএস