দেশজুড়ে

বরগুনায় বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় ১৫৮ জনের নামে মামলা

বরগুনায় বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় ১৫৮ জনের নামে মামলা

বরগুনা জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সাবেক তিন এমপিসহ আওয়ামী লীগের ১৫৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিনগত রাতে সদর থানায় মামলা করেন এস এম নইমুল ইসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে।

Advertisement

মামলায় বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সারোয়ার টুকু, বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন।

এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির, পৌরসভার সাবেক ও বর্তমান মেয়রগণ, বরগুনা পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ ও সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন, আমতলী পৌরসভার সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমান, বেতাগী পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম কবির, সাবেক বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, সাবেক তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবিউল কবির জমাদ্দারসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ১৫৮ জন নেতাকর্মীকে এজাহার ভুক্ত আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্র জানায়, দুই বছর আগে ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস কার্যালয়ে কেক কেটে শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করেন। পরে সেখান থেকে সবাই একত্রিত হয়ে লোহার রড, জিআই পাইপ, বগি দাসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে বরগুনার বিএনপিকে উৎখাত করতে মিছিল সহকারে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। পরে অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন তারা।

Advertisement

এ সময় অফিসের মধ্যে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল মালামাল ভাঙচুর করে অফিস সংলগ্ন সামনের সড়কে স্তূপ করে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বুধবার রাতে মামলাটি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নুরুল আহাদ অনিক/আরএইচ/জেআইএম

Advertisement