বাংলাদেশের সব মানুষ নির্বাচন চায়। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত। তাহলে সে প্রস্তুতি কাজে লাগানো হচ্ছে না কেন? সরকারের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
Advertisement
শনিবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, আজকের সরকার কথায় কথায় সংস্কারের কথা বলে। ছোট সংস্কার, বড় সংস্কারের কথা বলে। এই সংস্কার শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। তিনিই প্রথম ফারাক্কার চুক্তি নিয়ে জাতিসংঘে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। আন্তর্জাতিক নদী কমিশনের কাছে এটা উত্থাপন করেছিলেন। সংস্কার ছিল নিষিদ্ধ হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে আবার রাজনীতির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খাল কেটে কৃষিখাতকে উন্নত করেছিলেন। বাংলাদেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। বাংলাদেশ থেকে প্রথম জনশক্তি রপ্তানি করেছিলেন তিনি।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, জিয়াউর রহমান প্রথম দেখিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কীভাবে করতে হয়। নারী-পুরুষের সমন্বয়ে গ্রাম প্রতিরক্ষা পুলিশ তৈরি করেছিলেন। আজ তারা সংস্কারের কথা বলে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফার দিকে লক্ষ্য করেন। তিনি যে সংস্কারের কথা বলেছেন, এরচেয়ে বড় সংস্কার আর হতে পারে না।
Advertisement
উপদেষ্টাদের উদ্দেশে যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশের নাগরিকদের যে অপমান করা হচ্ছে তার প্রতিফল কী হতে পারে, বর্তমান উপদেষ্টাদের আমি বিনীত অনুরোধ করব এ বিষয়ে আরও গভীর চিন্তাভাবনা করার জন্য।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। নির্বাচন কমিশন বলেছে নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত। তাহলে সেই প্রস্তুতিটা কাজে লাগানো হচ্ছে না কেন? এখানে তাদের (সরকারের) মধ্যে কোন মানসিকতা কাজ করছে সেগুলো ঝেড়ে ফেলে দিন। মানুষের অধিকারের দিকে গুরুত্ব দিন। স্লোগানের মধ্য দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ধারণ করা সহজ, কিন্তু তার কর্মকাণ্ড হৃদয়ে ধারণ করে সেগুলো প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। সেই কঠিন কাজটা যদি আমরা করতে না পারি শুধু স্লোগান দিয়ে তাকে ধারণ করলে এটা হবে তাৎক্ষণিক একটা প্রতিক্রিয়া। তাকে সম্মান প্রদর্শন করা হবে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
কেএইচ/এএমএ/এএসএম
Advertisement