পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিল। অর্থাৎ পাকিস্তানকে আর পানি দেবে না ভারত।
Advertisement
তাই এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আইনি লড়াই করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ ব্যাপারে দেশটি প্রস্তুতিও শুরু করেছে।
পাকিস্তানের আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী আকিল মালিক জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ কমপক্ষে তিনটি ভিন্ন আইনি বিকল্পের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাংকের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা। কারণ এই চুক্তিতে সংস্থাটি মধ্যস্থতা করেছিল।
তিনি বলেন, স্থায়ী সালিশ আদালত অথবা হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে, যেখানে তারা অভিযোগ করতে পারে যে ভারত ১৯৬০ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অন দ্য ল অফ ট্রিটিজ লঙ্ঘন করেছে।
Advertisement
তিনি বলেন, স্থায়ী সালিশ আদালত অথবা হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। ভারত ১৯৬০ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অন দ্য ল অব ট্রিটিজ লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ আনা হতে পারে।
মালিক বলেন, আইনি কৌশলগত পরামর্শ প্রায় সম্পন্ন। কোন মামলাগুলো করা হবে হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগির নেওয়া হবে এবং সম্ভবত একাধিক উপায় অনুসরণ করা হবে।
এর আগে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো-জারদারি বলেছেন, পিপিপি যেমন ঐকমত্য ছাড়া বিতর্কিত খাল প্রকল্পের অনুমতি দেয়নি, তেমনি পাকিস্তানিরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং সিন্ধু নদীতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগ্রাসনের তীব্র জবাব দেবে।
সিন্ধু পানি চুক্তি (আইডব্লিউটি) স্থগিত করার বিষয়ে ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে তিনি নয়াদিল্লিকে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সিন্ধু আমাদের এবং আমাদেরই থাকবে। সিন্দুতে হয় আমাদের পানি প্রবাহিত হবে, নয়তো তাদের (ভারত) রক্ত।
Advertisement
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম