খেলাধুলা

দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সঙ্গে টেস্টে সাদমানের ১০০০

দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সঙ্গে টেস্টে সাদমানের ১০০০

গত বছরের আগস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি সাদমান ইসলাম। এরপর তিনটি ফিফটি হাঁকিয়েছেন। তবে শতরানে পৌঁছাতে পারেননি একবারও। অবশেষে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার। যার জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৬ ইনিংস।

Advertisement

সাদমান টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন হারারেতে ২০২১ সালে। অর্থাৎ তার দুটি সেঞ্চুরিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। টেস্ট ক্যারিয়ারে ২২তম ম্যাচে এসে বাঁহাতি ব্যাটার আজ ছুঁয়েছেন ১০০০ রানের মাইলফলকও।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৯ ওভারের খেলা শেষে ১ উইকেটে ১৮৩ রান। সাদমান ১১৫ আর মুুমিনুল হক ২৫ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশ পিছিয়ে ৪৫ রানে।

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের প্রত্যাশা ছিল, শেষ উইকেটে আরও কিছু রান যোগ করার।

Advertisement

তবে ক্রেইগ আরবিনের দলকে নতুন দিনে কোনো রান করতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের প্রথম বলেই ব্লেসিং মুজারানিকে আউট করেন তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ে ব্যাটারকে উইকেটরক্ষক জাকের আলীর ক্যাচ বানান বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম আউট দিতে না চাইলেও বাংলাদেশী ফিল্ডারদের কড়া আবেদনের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত বদল করেন আম্পায়ার। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানেই অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।

এরপর ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা করে দেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রান করেন তারা। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির সম্ভাবনা তৈরি করেও পারেননি বিজয়। ৮০ বলে ৩৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে উইকেট হারান তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ভাগ্যের সহায়তা না পেয়ে মন খারাপ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বিজয়কে।

৩৯ রানের ইনিংসটিই ডানহাতি ব্যাটারের ক্যারিয়ারসেরা টেস্ট ইনিংস। এর আগে বিজয়ের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ২৩ রানের। যা ২০২২ সালের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন গ্রস আইল্যান্ডে। এরপরই জাতীয় দলের লাল বলের ক্রিকেট থেকে বাদ পড়েছিলেন বিজয়।

এমএইচ/জিকেএস

Advertisement