দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো মনমাতানো ঘুড়ি উৎসব। ঘুড়ি উৎসবের হারানো ঐতিহ্যকে ফেরাতে ও বর্তমান প্রজন্মকে ঘুড়ি চেনাতে এ আয়োজন করা হয়।
Advertisement
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে বোচাগঞ্জ বড় মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফ হাসান। এসময় অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল হুদা ও বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান জাহিদ সরকার। আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘সূর্য তরুণ’র সভাপতি তৌফিক মিঠুর এতে সভাপতিত্ব করেন।
ইউএনও মারুফ হাসান বলেন, মানুষের জীবনে শৈশবের স্মৃতি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নব্বইয়ের দশকে বা তারও আগে যারা জন্মগ্রহণ করেছে তাদের একটা অন্যতম উৎসব বা ঐতিহ্য ছিল ঘুড়ি। কিন্তু বর্তমানে সব খেলাধুলা মোবাইল দখল করে ফেলেছে। আমাদের সন্তানেরা ঘুড়ি কী জিনিস জানে না, ঘুড়ি কীভাবে তৈরি করতে হয় সেটাও জানে না, ঘুড়ির সঙ্গে যে সুতা থাকে সেটা যে মাঞ্জা দিতে হয় সেটা কীভাবে দিতে হয় সেটাও জানবে না। আমাদের সময় মার্বেলসহ অনেক খেলা খেলতাম। আমাদের সেই শৈশবটা কত সুন্দর ছিল।
তিনি আরও বলেন, এখনকার যে প্রজন্ম তারা যখন আমাদের মত বয়সে আসবে, তখন তারা যখন তাদের শৈশবের কথা চিন্তা করবে তাদের মাথায় ঘুরবে মোবাইল। তাই আমাদের আবহমান গ্রাম-বাংলার যে ঐতিহ্য রয়েছে সেগুলোকে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। এ ধরনের যেসব খেলাধুলা রয়েছে তাতে উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করবে। আর এ ধরনের খেলাধুলা আমাদের যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে সহায়তা করবে।
Advertisement
মাঝারি তাপদাহ উপেক্ষা করে ‘চলো হারাই শৈশবে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বোচাগঞ্জ বড় মাঠে অনুষ্ঠিত এ ঘুড়ি উৎসব উপভোগ করেন হাজারো মানুষ। এ সময় অর্ধশতাধিক প্রতিযোগী বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও রং-বেরঙের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেন উৎসবে। নানা আকৃতির ঘুড়ির মধ্যে ছিল মাছ, ঈগল, প্রজাপতি, লেজযুক্ত ঘুড়ি প্রভৃতি।
এমদাদুল হক মিলন/এমএন/এমএস