জাতীয়

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা জবি শিক্ষার্থীদের

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা জবি শিক্ষার্থীদের

তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

বুধবার (১৪ মে) দিনগত রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসানসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতারা একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার এই ঘোষণা দেন।

এ সময় জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা কাকরাইল মসজিদের সামনেই অবস্থান করব। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলে তার দায় উপদেষ্টাদের নিতে হবে।

৭০ শতাংশ আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

আরও পড়ুন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু জবি শিক্ষার্থীদের ‘চল চল যমুনা যাই’ এই রাজনীতি আর হতে দেবো না: মাহফুজ আলম

এদিন দুপুর ১টার দিকে মৎস্য ভবন পেরিয়ে কাকরাইল মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছালে মিছিলটি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে বসে পড়েন। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর আড়াইটার পর বৃষ্টি শুরু হলেও বৃষ্টিতে ভিজেই তারা স্লোগান তোলেন- ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’।

আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো

১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।

২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।

Advertisement

৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

আরএএস/এএমএ