খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ও কুয়েটের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থী।
Advertisement
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তারা অনশন শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার কথা চিন্তা করে এদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী অনশনস্থলে এসে অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন। তবে উপাচার্যের অনুরোধে সাড়া দেননি শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন ভাঙবেন না বলে জানান উপাচার্যকে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এছাক মিয়া এবং প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছে। তারা এখন আমরণ অনশনে আছে। অনশনের ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কুয়েটের উপাচার্য পদত্যাগ না করে বরং বলছেন, মেজরিটি শিক্ষার্থীরা নাকি আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান করছেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা শাবিপ্রবিতে কুয়েটের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরণ অনশনে বসেছি। যতক্ষণ না কুয়েটের উপাচার্যের পদত্যাগ করছেন, ততক্ষণ আমাদের অনশন চলবে।
Advertisement
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা সব দাবি দাওয়া নিয়ে অবগত আছি। আমরা আমাদের এখানে অনশনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। কুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়েও উদ্বিগ্ন। আমরা সার্বক্ষণিক আমাদের শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিচ্ছি। তাদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেছি যেন তারা অসুস্থ না হয়ে যায়। তারা তাদের দাবির জায়গায় অনড়। শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিচ্ছি এবং মেডিকেল সেন্টারেও বলে রাখছি যেন কোনো সমস্যা হলেই সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া যায়।
নাঈম আহমদ শুভ/এমএন/এমএস