পুঁজি মাত্র ১৭৩ রানের। সিলেট টেস্ট জিততে হলে এই রানের মধ্যেই জিম্বাবুয়েকে আটকাতে হবে বাংলাদেশের। এর জন্য দরকার ছিল, শুরুর দিকেই সফরকারীদের চেপে ধরা। কিন্তু স্বাগতিকদের প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
Advertisement
উইকেট তো ফেলতে পারেইনি, জিম্বাবুয়ের রান তোলাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা প্রথম উইকেট ফেলেছে অবশেষে, ততক্ষণে ৯৫ রান করে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে। অর্থাৎ সফরকারী দল জয়ের দিকে এগিয়ে গেছে অনেকটা।
বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি ফিল্ডারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিডঅফে ক্যাচ হয়েছেন জিম্বাবুয়ে ওপেনার বেন কারেন। ৭৫ বলে ৪৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২২ ওভারে ১ উইকেটে ১০০ রান। জয়ের জন্য সফরকারীদের দরকার আর মাত্র ৭৪ রান।
Advertisement
এর আগে আজ বুধবার ৪ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২৫৫ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
দিনের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। বুধবার একটি রানও যোগ করতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। আগের দিনের ৬০ রান (১০৪ বলে) নিয়েই ফেরেন সাজঘরে। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ফাইন লেগ অঞ্চলে ভিক্টর নুয়াইসির হাতে ধরা পড়েন শান্ত।
দলীয় স্কোরবোর্ডে ১৬ রান যোগ হতেই উইকেট দিয়ে আসেন পরবর্তী ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজও। ডানহাতি ব্যাটারকে আউট করে টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় ফাইফার পূর্ণ করেন মুজারানি। ১৫ বলে ১১ রান করেন মিরাজ।
পরের ওভারেই আউট তাইজুল ইসলাম। ৩ বলে মাত্র ১ রান করে ফেরত যান তিনি। ২১৩ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
Advertisement
অষ্টম উইকেটে হাসান মাহমুদকে নিয়ে ৩১ রানের জুটি করেন জাকের আলী। এই জুটি বাংলাদেশকে পৌঁছে দেয় ২৪৮ রানে। জাকের আলী ফিফটির করার পরই আউট হন হাসান মাহমুদ।
ইনিংসের ৭৮তম ওভারে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে বাজে শট খেলে ডিপ মিডউইকেটে ব্লেসিং মুজারাবানির হাতে ক্যাচ হন হাসান। এরপর নতুন ব্যাটার খালেদ আহমেদ প্রথম বলেই আউট হন। ওয়েলিংটনের বলে স্লিপে ক্রেইগ আরবিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
এরপর মুজারাবানির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে নিক ওয়েলচের হাতে ক্যাচ হন জাকের আলী। ১১১ বলে ৫৮ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার। এতে শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।
এমএইচ/জিকেএস