রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় পুলিশের অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) বহনকারী গাড়ি উল্টো আসার সময় না দেখায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসের ট্রাক চালক ও তার সহকারীকে মারধর ও থানায় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
বুধবার (২৩এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস পাঠাওয়ের এক ট্রাক চালক ও তার সহকারীকে রাস্তায় মারধর ও থানায় নিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী গাড়ি চালক ও তার সহকারী হলেন মিলন ও সাকিব। বর্তমানে গাড়িসহ ওই চালক থানা হেফাজতে বলে জানা গেছে।
এদিকে, পাঠাও অফিস সূত্রে জানা গেছে, হাজারীবাগে পাঠাও কুরিয়ারের ওয়ার হাউজ থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে গাড়িটি যাত্রা করে। পথে নিউ মার্কেট থানার সায়েন্সল্যাব এলাকায় উল্টো পথে আসা ওসির গাড়ি না দেখায় চালককে মারধর ও থানায় নিয়ে আটকে রাখা হয়।
Advertisement
থানায় আটক গাড়ির ড্যাশ বোর্ডের ক্যামেরায় দেখা যায়, রাত ২টা ১ মিনিটে সায়েন্সল্যাব মোড়ে হঠাৎ নিউমার্কেট থানার ওসিকে বহনকারী গাড়িটে উল্টো লেনে প্রবেশ করে। এর কয়েক সেকেন্ড আগে বড় কয়েকটি লরির পেছনে থাকা পাঠাও কুরিয়ারের গাড়িটি সড়কে বামে চেপে যেতেই ওসির গাড়ি সামনে চলে আসে। ৩০ কিলোমিটার গতিতে থাকা গাড়িটি থামাতে চালক হার্ড ব্রেক করেন। এ সময় চালককে বলতে শোনা যায়, স্যার আপনার গাড়ি তো উল্টো পথে এসেছে। আমি ট্রাকের পেছনে থাকায় দেখিনি। আমার ভুল হয়েছে সরি।
কিন্তু ওসি মোহসীন গাড়ি থেকে নেমে চালককে মারধর ও গালাগালি করতে থাকেন। পুলিশের গাড়ি না দেখার অপরাধে তাকে ঘটনাস্থলে মারধর ও গাড়ি আটক করেন। পরবর্তী সময় গাড়িসহ চালক এবং চালকের সহকারীকে রাত ৩টার দিকে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার বিষয় জানার পরে চালকের অন্যায় আছে কি না যাচাই করেছে পাঠাও কর্তৃপক্ষ।
পাঠাওয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাড়িতে থাকা ক্যামেরায় তারা চালকের কোনো অন্যায় দেখেননি। মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার গতির মধ্যে গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। বরং উল্টো পথে আসা ওসি তাকে অন্যায়ভাবে মারধর ও থানায় নিয়ে আটকে রেখেছেন।
Advertisement
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন উদ্দিন বলেন, এই বিষয়টা নিয়ে থানায় কথা বলছি। একটু পরে কথা বলবো বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তারিক লতিফ জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি আমরাও শুনেছি। আমাদের ডিসি স্যার এই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের বলেছেন। আমরা তদন্ত করে তারপর বিষয়টি দেখবো।
তিনি বলেন, আমাদের ডিসি স্যার নির্দেশ দিয়েছেন আটককৃতদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
কেআর/এসএনআর/এএসএম