দেশজুড়ে

‘কলিজা টানি ছিঁড়ি ফেলার’ হুমকি দেওয়া সেই বিএনপি নেতাকে শোকজ

‘কলিজা টানি ছিঁড়ি ফেলার’ হুমকি দেওয়া সেই বিএনপি নেতাকে শোকজ

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কলিজা টেনে ছিঁড়ে ফেলার হুমকি দেওয়া বিএনপি নেতা আনিছুর রহমা‌নকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্প‌তিবার (১ মে) দেওয়া ওই নোটিশে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদের সই রয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে আপনি প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান, অসংলগ্ন ও উত্তেজনাপূর্ণ ভাষায় বক্তব্য প্রদান করেছেন। একটি রাজনৈতিক দল সম্পর্কে অশালীন ও অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। ভিডিওতে ব্যবহৃত ভাষা এবং বক্তব্য সামগ্রিকভাবে দলীয় শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক সহনশীলতার পরিপন্থি। এ কারণে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা পত্রপ্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হলো।

আরও পড়ুন:

Advertisement

‘কলিজা টানি ছিঁড়ি ফেলবো, চেনো বিএনপিকে’

এরআগে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে জামায়াতের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজারহাট শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক রুবেল মিয়াকে বলতে শোনা যায়- ‘কলিজা টানি ছিঁড়ি ফেলবো, একবারে টানি ছিঁড়ি ফেলবো তোমার। চেনো তুমি, এ চেনো? খুব পাওয়ার দেখাও, একবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবো তোমাকে, চেনো বিএনপিকে?’

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজারহাট শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক রুবেল মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার চান্দামারী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি পদ নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে বিকেলে থানা মোড়ে আমায় ডেকে নিয়ে আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন, লাঞ্ছিত ও গালিগালাজ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো মামলা করিনি। তবে দলের (জামায়াতে ইসলামী) ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করা হ‌বে।’

এ বিষয়ে অ‌ভিযুক্ত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমান বলেন, নো‌টিশ পেয়েছি। ব্যাখ্যা দেবো।

Advertisement

কু‌ড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ বলেন, অভিযুক্ত আনিছুর রহমানের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআর/জেআইএম