ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এই শোক প্রকাশ করার মতো কোনো শব্দ নেই। যুক্তরাষ্ট্র এবং পেরুতে ১১ দিনের সফরে গিয়েছিলেন তিনি। খবর বিবিসির।
Advertisement
এই সফরে তার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাংক এবং জি২০-ভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু তার ওই সফর সংক্ষিপ্ত করে তিনি শিগগির দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তার সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে বুধবার সকালে ভারতে পৌঁছান।
বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে কাশ্মীরজুড়ে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ওই অঞ্চলের গণপরিবহন ব্যবস্থায়ও। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পহেলগামের ওই হামলায় এখন পর্যন্ত মোট ২৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গেছে, দেশটির ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) একটি দল এরই মধ্যে শ্রীনগরে পৌঁছেছে এবং আরও কয়েকটি টিমের সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে।
Advertisement
পাশাপাশি দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও পহেলগাম পরিদর্শনে যাবেন। এদিকে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করছে, এই হামলার পেছনে রয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়েবার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি গোষ্ঠী।
‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগামের বাইসরান এলাকায় পর্যটকদের ওপর চালানো এই সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। এটি লস্কর-ই-তৈয়েবারই একটি ছায়া সংগঠন বলে জানায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে দোকানপাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কাশ্মীরে হামলা চালালো কারা? কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলা, নিহত বেড়ে ২৬অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে একটি অখ্যাত স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে, কাশ্মীরে ৮৫ হাজারের বেশি ‘বহিরাগত’ বসবাস শুরু করায় জনসংখ্যার কাঠামো পাল্টে যাচ্ছে। এরই প্রতিবাদে তারা এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। রয়টার্স অবশ্য এই দাবির স্বতন্ত্র উৎস যাচাই করতে পারেনি।
টিটিএন
Advertisement