লাইফস্টাইল

পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াবেন যেভাবে

পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াবেন যেভাবে

সানজানা রহমান যুথী

Advertisement

বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ হলো পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা। প্রযুক্তির আধিপত্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আকর্ষণ, ও নানাবিধ মানসিক চাপে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে কিছু সহজ অভ্যাস ও কৌশল অনুসরণ করলে মনোযোগ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক পড়াশোনার মনোযোগ বাড়ানোর কিছু কার্যকরী টিপস -

১. পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুনপ্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে মস্তিষ্কও সে সময়টিকে পড়ার জন্য প্রস্তুত রাখতে শিখবে।

২. পড়ার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করুনযেখানে আপনি পড়বেন, সেই জায়গাটি যেন শান্ত ও পরিপাটি থাকে। মোবাইল, টেলিভিশন কিংবা অন্যান্য প্রযুক্তি এড়িয়ে চলুন।

Advertisement

৩. ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুনএক বসায় বিশাল অধ্যায় শেষ করার চেষ্টা না করে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পড়ুন। প্রতিটি লক্ষ্য পূরণে আপনি উৎসাহ বোধ করবেন। এতে খুব সহজেই আপনার বইয়ের বড় বড় অধ্যায়গুলো তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারবেন।

৪. পড়ার সময় বিরতি নেওয়া ২৫ মিনিট পড়াশোনা করে ৫ মিনিট বিশ্রাম নিন। চারটি সেশন শেষ হলে একটু বেশি সময় বিশ্রাম নিন। এতে মনোযোগ বিচ্যুতি কমে যাবে।

৫. পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম অপর্যাপ্ত ঘুম মনোযোগ ও স্মরণশক্তি দুটোই কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।

৬. প্রয়োজন অনুযায়ী রিভিশন শুধু পড়লেই হবে না, মনেও রাখতে হবে। তাই সময় করে রিভিশনের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

Advertisement

৭. মোবাইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সীমিত ব্যবহারপড়ার সময় মোবাইল একদম দূরে রাখুন বা ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ মোডে রাখুন। নির্দিষ্ট সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন।

৮. শরীরচর্চা ও মেডিটেশন করুনপ্রতিদিন ১৫-৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম কিংবা ধ্যান করলে মানসিক চাপ কমে ও মনোযোগ বাড়ে।

৯. খাদ্য তালিকায় সুষম খাবার রাখাখাবার আমাদের শরীর এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শরীর ভালো না থাকলে আমারা মানসিক ভাবেও সুস্থ থাকি না। তাই মনোযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুষম খাদ্যের প্রয়োজন।

১০.ইতিবাচক চিন্তা ও আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুননিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। ‘আমি পারব’ – এই মনোভাব আপনার মনোযোগ ও আত্মমর্যাদা বাড়াতে সাহায্য করবে।

পড়াশোনা কেবল দায়িত্ব নয়, এটি একটি নিজেকে গড়ে তোলার পথ। একটু সচেতনতা ও কিছু কৌশলের মাধ্যমে মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব। মনোযোগ থাকলেই শেখা হবে কার্যকর ও আনন্দদায়ক।

এএমপি/জেআইএম