লাইফস্টাইল

যেসব কাজ ছাত্রজীবনে অর্থাভাব মিটিয়ে সিভিতে যোগ করবে অভিজ্ঞতা

যেসব কাজ ছাত্রজীবনে অর্থাভাব মিটিয়ে সিভিতে যোগ করবে অভিজ্ঞতা

ফেরদৌসি লিমা

Advertisement

আদনান ফয়সাল অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়ছেন রাজধানীর তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। মফস্বল শহরে বড় হয়ে ফয়সাল লেখাপড়ার তাগিদে ঢাকাতে থাকেন। মধ্যবিত্ত বাবা-মা এতদিন ফয়সালের প্রয়োজনীয় সব চাহিদা মিটিয়েছেন। কিন্তু পরিবারের চাপ কমানোর পাশাপাশি আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে কিছু আয় করা যে জরুরি হয়ে উঠেছে। ভাবতে থাকেন- কি করবেন সে? টিউশনি নাকি অন্যকিছু? এমন কিছু কি করা যায়, যা ভবিষ্যতে চাকরির সময় অভিজ্ঞতা হিসেবেও কাজে আসবে?

ফয়সাল উত্তর খুঁজতে থাকেন। তার মতোই ছাত্রজীবনে এমন প্রশ্নের সমীক্ষণ মেলাতে চায় অগণিত শিক্ষার্থী। অনেকেই টিউশনিকে বেছে নেয় ছাত্রজীবনে আয়ের প্রধান মাধ্যম হিসেবে। আবার অনেকেই চান এমন কিছু, যে স্কিল বা দক্ষতা তার জীবনবৃত্তান্তে যোগ করা যাবে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী চান এমন কিছু, যা অভিজ্ঞতা জমানোর পাশাপাশি টাকাও এনে দেবে।

আজ এমন একটি তালিকা হোক। জানা যাক- কোন কাজ ছাত্রজীবনের অর্থাভাব মেটাবে, সেই সঙ্গে সঞ্চয় করবে অভিজ্ঞতা। চলুন দেখে নিই, কী হতে পারে ছাত্র কিংবা বেকারদের অভাবের অবলম্বন।

Advertisement

১. টিউশনি

ছাত্রজীবনে নিজ স্বপ্নের চারাগাছকে বড় করতে নামমাত্র মূল্যে অন্যের স্বপ্নের বীজকে পরিচর্যা করার নামই টিউশনি। রাজধানীসহ অন্য শহর আর মফস্বলের অগণিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকে থাকার চাবিকাঠি এই টিউশনি। একটু চেষ্টা করলেই, সহজেই টিউশনি পাওয়া যায়। অনেকেই একের অধিক টিউশনি করিয়ে নিজের খরচ চালানোর পাশাপাশি মা-বাবাকেও সহায়তা করেন। এছাড়াও টিউশনির অভিজ্ঞতা চাকরির পরীক্ষায় বেশ সাহায্য করে।

টিউশনিতে কোনো ধরনের পুঁজি কিংবা বিনিয়োগ লাগে না, দরকার শুধু মেধা। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের জন্য টিউশনি এখনো সবচেয়ে ভালো বিকল্প।

২. ফ্রিল্যান্সিং

Advertisement

টিউশনির অভিজ্ঞতা চাকরির পরীক্ষায় সহায়ক হলেও সিভিতে উল্লেখ সম্ভব না। তাই ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে বর্তমান সময়ে বিকল্প আয়ের পথ। ফ্রিল্যান্সিংয়ের অর্থ হলো স্বাধীন বা মুক্তপেশা। অন্যভাবে বলা যায়, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।

এক জরিপমতে, বাংলাদেশে এখন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। এই সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। কারণ, অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বেশ সম্মানজনক এবং ক্রিয়েটিভ কাজ। ফ্রিল্যান্সিংয়ে নির্দিষ্ট কোনো বিভাগ নেই। ধরে নেওয়া যাক, আপনি আঁকতে ভালোবাসেন, তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখুন। গণিতে ভালো হলে শিখতে পারেন প্রোগ্রামিং কিংবা ওয়েব ডিজাইনিং। আর এমন হাজারো কাজের সন্ধান পাবেন আপওয়ার্ক ও ফাইভার-এর মতো প্ল্যাটফর্মে।

৩. ফটোগ্রাফি – ভিডিওগ্রাফি

বর্তমান সময়ে বিকল্প ক্যারিয়ার হিসেবে ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। যারা ফটোগ্রাফি- ভিডিওগ্রাফি পারেন, তারা বন্ধুদের নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে ফেলতে পারেন। বিবাহ, জন্মদিন, বাণিজ্যিক ইভেন্টসহ অনেক ধরনের সুযোগ রয়েছে। তাই যারা এসবে পারদর্শী তাদের জন্য বেশ ভালো আয়ের মাধ্যম হতে পারে ফটোগ্রাফি।

৪. এডিটিং

নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেশে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে প্রযুক্তিভিত্তিক কিছু কর্মক্ষেত্র। অডিও ও ভিডিও এডিটিং তেমনই একটি স্কিল। এই যুগে প্রতিটি কোম্পানি, প্রতিটি উদ্যোক্তা, প্রতিটি ব্র্যান্ড তাদের প্রচারণার কাজটি করে ভিডিওর মাধ্যমে। তাই ভিডিও এডিটরের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এছাড়াও টিভি ও মাল্টিমিডিয়া সংবাদ পোর্টালেও এই যোগ্যতার লোকগুলো খুব সহজেই চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন।

বর্তমান যুগে সবাই উন্নতমানের ভিডিও চায়, কিন্তু ভালো ভিডিও এডিটর পাওয়া যায় না। তাই যারা ভালো এডিটিং পারে তাদের উপার্জনের অন্যতম সুযোগ দিচ্ছে এই ক্ষেত্রটি।

৫. গ্রাফিক্স ডিজাইন ও মোশন গ্রাফিক্স

একজন শিক্ষার্থী লেখাপড়ার পাশাপাশি একই সময়ে নিজস্ব ক্যারিয়ারও তৈরি করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং মোশন গ্রাফিক্স আপনার ক্যারিয়ারের জন্য একটি ভালো পথ করে দিতে পারে। সুন্দর লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে বড়-বড় কাজ চুক্তিতে করার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি কার্টুন চ্যানেল ও বিজ্ঞাপন সংস্থায় মোশন গ্রাফিক্স এর চুক্তিভিত্তিক কাজের সুযোগ রয়েছে। তাই এই কাজের যোগ্যতা থাকলেই বেকার বা শিক্ষার্থীরা মোটা অঙ্কের টাকা আয়ের সুযোগ পাবে।

৬. এজেন্সি

বড় বড় কোম্পানির জন্য ভিডিও এডিটিং করে দেওয়া, ডিজাইন করে দেওয়া, প্রেজেন্টেশন তৈরি করা, কর্পোরেট ইভেন্ট অর্গানাইজ করাসহ আরো অনেক কাজ থাকে। এছাড়া পণ্যের বিজ্ঞাপনের ক্যাম্পিং এর চুক্তিভিত্তিক লোকবল দরকার পড়ে। আপনি যদি এরকম কাজগুলো চুক্তিতে নিতে পারেন, তাহলে অনেক কোম্পানি আপনাকে খুঁজে নিবে। এমনকি আপনি চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন নিজের একটি এজেন্সি।

৭. অনুবাদক

বিদেশি ভাষায় দখল থাকলে আপনি অনুবাদক হিসেবে কাজ করতে পারেন। অনেক লেখক-প্রকাশকরা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ভালো অনুবাদক খুঁজে থাকেন। নানা রকম প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে খণ্ডকালীন অনুবাদক। একটি কাজে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এছাড়া অনেক অনুবাদ কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে বেশিরভাগ মানুষই আসেন দুই-এক পৃষ্ঠা অনুবাদ করতে। প্রতি পৃষ্ঠায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা সম্মানী পাওয়া সম্ভব। এ জন্য অনেক শিক্ষিত হওয়ার দরকার নেই, প্রয়োজন শুধু ভাষার সঠিক ব্যবহার।

৮. প্রোডাক্ট রিভিউয়ার

পৃথিবীব্যাপী দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে অনলাইন শপিং। এর ফলে প্রোডাক্ট রিভিউ সাইটগুলোর জনপ্রিয়তাও হু হু করে বাড়ছে। বর্তমানে ক্রেতা কোনো পণ্য কেনার আগে সাধারণত অনলাইনে সেসব পণ্যের রিভিউ পড়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আপনি এসব অনলাইন শপিং জায়ান্টের পণ্যের রিভিউ লিখে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করতে পারেন। তবে, এজন্য অবশ্য ইংরেজি লেখার অভিজ্ঞতা দরকার পড়বে। আপনার পর্যালোচনা পড়ে ক্রেতা পণ্য কিনলেই প্রতিষ্ঠানটি আপনাকে কমিশন দেবে। এক জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ৮০ শতাংশ ভোক্তা প্রোডাক্ট রিভিউ দেখে কেনাকাটার সিদ্ধান্ত নেন। প্রোডাক্ট রিভিউ অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিংয়ের অংশ। তাই পড়ালেখার পাশাপাশি আয়ের বড় উৎস হতে পারে প্রোডাক্ট রিভিউয়ারের কাজ।

৯. অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটিং

অনলাইনে আয়ের হাজারো পদ্ধতির মধ্যে ইউটিউব-ফেসবুক ভীষণ জনপ্রিয়। ইউটিউবে নিজের একটি চ্যানেল আর ফেসবুকে পেজ খুলে ভিডিও আপলোড করে আয় করা যায়। তবে আয় অবধি পৌঁছতে বেশ কিছু শর্ত পূরণ জরুরি। তবে ইউটিউব ও ফেসবুকের নিয়ম মেনে চ্যানেল-পেজ চালাতে পারলে ভালো অঙ্কের অর্থ আসতে পারে।

ভালো লেখার হাত এবং ভালো জানাশোনা থাকলে এটা ছাত্রজীবনে আয়ের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হবে। নানা পত্রপত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল কিংবা ম্যাগাজিনে লিখতে পারেন। দৈনিক পত্রিকায় পেশাদার কলাম লেখকদের বেশ কদর। বাংলাদেশের বাইরেও নানা পত্রিকায় লিখতে পারেন। সে জন্য ভাষার দক্ষতা জরুরি। পত্রিকাগুলো নিয়মিত সাংবাদিকের বাইরে প্রচুর কন্ট্রিবিউটর নিয়ে থাকে। কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করলে লেখার বিনিময়ে আয় করার পাশাপাশি এতে দেশব্যাপী আপনার পরিচিতি তৈরি হবে।

এছাড়াও অনলাইনে প্রচুর ব্লগিং সাইট আছে, যেসব জায়গায় প্রচুর রাইটারের প্রয়োজন। মনে রাখবেন, ইন্টারনেটে সবকিছুই আসলে কনটেন্টনির্ভর। আপনি ইন্টারনেটে যা কিছু পড়ছেন, তা আপনার মতোই কেউ লিখেছেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পার্টটাইম কিংবা ফুলটাইম কনটেন্ট রাইটার নিচ্ছে। ধরা যাক, আপনি অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার, মানে এ শাখায় আপনার ভালো জ্ঞান আছে। আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে লিখতে পারেন পারিশ্রমিকের বিনিময়ে। লেখালেখির বিষয় আসলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। যেকোনো ভাষাতেই এ কাজ পাওয়া যাচ্ছে। তাই যারা লেখালেখিতে ভালো, এই গুণটি কাজে লাগিয়ে আয় করে নিতে পারেন।

১০. প্রুফ রিডিং

যারা বাংলা বানান ও ব্যাকরণ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখেন, তাদের জন্য প্রুফ রিডিং হতে পারে আয়ের উৎস। যারা প্রুফ রিডিং করেন, তাদেরকে বলা হয় প্রুফ রিডার। সংবাদমাধ্যম, ব্লগ সাইট, প্রকাশনা সংস্থাসহ নানা ক্ষেত্রে লেখার ভুল সংশোধনের জন্য স্থায়ী- খণ্ডকালীন কিংবা চুক্তিভিত্তিক প্রুফ রিডার নিয়োগ দেন। তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ভালো সুযোগ। এ কাজ পুরোপুরি শেখার জন্য এখন অনেক প্রতিষ্ঠানে কোর্স করা যায়।

১১. খণ্ডকালীন চাকরি

বিভিন্ন নামকরা রেস্টুরেন্ট, ফ্যাশন হাউজ নিয়মিত কর্মীর চেয়ে খণ্ডকালীন কর্মীর প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিজের সুবিধামতো সময় বেছে নেওয়ারও সুযোগ থাকে। মোটামুটি পারিশ্রমিকে এ কাজ শিক্ষার্থীদের জন্য মন্দ নয়।

১২. উদ্যোক্তা

জীবনের লক্ষ্য যদি হয় উদ্যোক্তা হওয়া, তবে তা ছাত্রজীবন থেকেই শুরু করা উচিত। ঘরে বসে স্বল্প পুঁজিতে যেসব ব্যবসা করা যায়, সেসব নিয়ে কাজ করা ভালো। ঘরের বাইরেও এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে, যেখানে স্বল্প পুঁজিতে টিকে থাকা যায়। মনে রাখবেন, লাভ-ক্ষতি ব্যবসারই অংশ। ছাত্রজীবনে সৃজনশীল ব্যবসায় মেধা খাটালে ক্ষতির ঝুঁকি কম।

১৩. গবেষণা সহকারী

দেশে এখন প্রচুর গবেষণার কাজ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা নানা ধরনের গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করছে। এসব কাজে নিয়োজিত গবেষকরা আবার সহকারী নিয়োগ দিচ্ছে। গবেষণা সহকারী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আপনার ক্যাম্পাসের শিক্ষকগণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে খুব সহজেই এই কাজ মিলবে। এতে অর্থের পাশাপাশি আপনার জ্ঞানের পরিধিও বাড়বে।

এছাড়াও অনেক উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি এনজিও নানা ধরনের জরিপের কাজ করে থাকে। দিনভিত্তিক সম্মানীতে এই কাজ পাওয়া যাচ্ছে। এখন এ কাজে শিক্ষার্থীদের ভালো চাহিদা আছে। তাই একবার এই কাজে নিজেকে যোগ করতে পারলে অর্থ উপার্জন জটিল কিছু নয়। তবে এক্ষেত্রে নিজের সামর্থ্যের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। এসব কাজে যুক্ত হওয়ার সুবিধা হলো, এটি ক্যারিয়ারকে প্রস্তুত করবে। এই অভিজ্ঞতা কর্মজীবনেও কাজে লাগবে।

১৪. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

আমরা অনেকেই অনেক ধরনের অনুষ্ঠানে যাই। হতে পারে ফুড ফেস্টিভাল, কর্পোরেট ইভেন্ট বা পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান। এমন আরো অনেক কিছু যা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করে পরিচালনা করাই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মগুলোর কাজ। এই ব্যাপারে দক্ষতা থাকলে এমন অনেক কাজ করে লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে।

১৫. শখ যখন আয়

আপনি কি ছবি আঁকতে পারেন? সুঁই-সুতার কাজে ফুল পাখির দৃশ্য জাগাতে পারেন? নকশি কাঁথা শেলাই বা কাঠের ছোট ছোট জিনিস বানাতে? ভালো ভালো রান্না করতে বা আচার বানাতে? এসব আপনার শৌখিন অভিজ্ঞতা। এসব অভিজ্ঞতাকে ডিজিটাল মাধ্যম কিংবা নিজ গণ্ডিতে ছড়িয়ে দিয়ে আপনার ক্রেতা বানিয়ে নিতে পারেন। এক ক্রেতার প্রচারণায় পেয়ে যাবেন আরেক ক্রেতা। এই নেটওয়ার্কিং শিক্ষাঙ্গণ থেকেই শুরু হতে পারে। এভাবেই আপনার শৌখিনতাকে বানিয়ে নিতে পারেন আয়ের উৎস।

মনে রাখবেন, আপনার মধ্যে অবশ্যই কোনো না কোনো দক্ষতা আছে, নিজের দক্ষতাকে আবিষ্কার করুন। সেই দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আপনার হাতে অর্থ আসতে বাধ্য। তবে যাই করুন না কেন, পরিশ্রম ছাড়া কোনো প্রচেষ্টাই দীর্ঘস্থায়ী হবে না।

তবে যাই করুন না কেন, পড়ালেখার ক্ষতি করে কোনো কিছু করাটা বোকামি। পড়ালেখাকে সব সময় অগ্রাধিকারের তালিকার শীর্ষে রাখতে হবে। নিজের পড়ালেখার ক্ষতি হয়, এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন।

এএমপি/জিকেএস