বাংলাদেশ রেলওয়ের দশটি হাসপাতাল পরিচালনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এ হাসপাতালগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
Advertisement
এজন্য সোমবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রেলওয়ে হাসপাতালগুলো সুষ্ঠু ও যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এ সময়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল এবং রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রামের রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, সিআরবি চট্টগ্রামের বক্ষব্যধি হাসপাতাল, হালিশহরের সিজিপিওয়াই (চট্টগ্রাম পোর্ট ইয়ার্ড) হাসপাতাল, রাজশাহীর বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের পাকশীর বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, সৈয়দপুরের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, লালমনিরহাটের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, পার্বতীপুরের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল ও সান্তাহারের বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল রেলওয়ে এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ যৌথভাবে পরিচালনা করবে।
Advertisement
সমঝোতা স্মারকে সই করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে আমরা হাসপাতালগুলো পরিচালনায় অংশ নিতে সম্মত হলাম। তবে এটার জন্য একটু সময় দরকার হবে। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে কত দ্রুত গতিতে সেবাটা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে পারি।’
রেলওয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ হাসপাতালগুলোতে কবে স্বাস্থ্যসেবা চালু হবে এটা এখন স্থিরভাবে বলা যাবে না। এ সপ্তাহে কিংবা আগামী সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টিম হাসপাতালগুলো দেখে আসবে। আমরা ইনভেনট্রি বানাতে বলে দেব। কোন ধরনের উন্নয়ন করতে হবে, কত জনবল লাগবে, কী প্রয়োজন সেই অ্যাসেসমেন্টটা তারা করবেন।’
তিনি বলেন, ‘রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে সেবাটা আছে সেটা অব্যাহত থাকবে। সেখানে কোন পরিবর্তন হবে না।’
Advertisement
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে সুবিধাটা পেতেন সেটা তো তারা পাবেনই। এই মুহূর্তে কোনো পরিবর্তন আমরা করতে পারছি না। ডাক্তার আছেন তিনজন সেখান থেকে যদি বাইরে থেকে রোগীরা আসেন, তাহলে তো ডাক্তাররা সেবাটা দিতে পারবেন না। তাই এই মুহূর্তে সেখানে বাইরের কারো যাওয়াটা ঠিক হবে না। এখন যেভাবে আছে সেভাবেই চলুক।’
নুরজাহান বেগম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের নীতিমালা তৈরি হবে। সেই অনুযায়ী কে কোন কাজটা করবে। সেগুলো ঠিক হবে। পরিদর্শনে যাবে, অগ্রাধিকার ঠিক করা হবে। এরপর আমরা একটা ঘোষণা দেবো যে, এখন থেকে এটা উন্মুক্ত করে দিলাম। আপনারা সবাই এখন সেখানে চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ফাওজুল কবির খান বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে দুই সচিবের সমন্বয় একটি কমিটি থাকবে। স্থানীয় পর্যায়ে হাসপাতালে এটা কিভাবে ওপেন করবে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত ওয়ার্ক আউট করা হবে। এ বিষয়ে রেলের সবার পূর্ণ সম্মতি আছে।
ঢাকায় রেলের হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আগের চুক্তি রয়েছে। তো ওই চুক্তির পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রেল উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা যাতে না হয় সেই বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বললেন নীতিমালা হবে এবং দুটি কমিটি করা হবে। তাই আগের অবস্থা সঙ্গে এটা মিলালে হবে না।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা এবং চট্টগ্রামে যখন আমরা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিব তখন অনুষ্ঠান করে জানিয়ে দেব।’
দেশে আট হাজার চিকিৎসক সংকট রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, শিগগির বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরএমএম/এএমএ/জেআইএম