দেশজুড়ে

বরিশালে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম

বরিশালে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম

বরিশালে সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে সবজির দাম। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে মাছ ও মাংসের দাম। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে বরিশালের পাইকারি সবজির বাজার, আড়ত ও মাছ-মাংসের দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

Advertisement

সবজির পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শসা গত সপ্তাহে পাইকারি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা করে। এছাড়া কাঁচামরিচ গত সপ্তাহে কেজি ৩৫-৪০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা করে, পটোল গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় ৩ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বেগুন আকার ভেদে ৪৫-৫০ টাকা, সজনে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬৫ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৪০-৫০ টাকা ও লেবুর হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মিষ্টি আলু প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, রসুন ৫০-৬০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাছ ও মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি ৩৩০ টাকায়, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি রুই ৩০০-৪৫০ টাকা, টেংরা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, ঘেরের তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, পাঙাস মাছ ১৩০-১৫০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৪৫০-৬৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি ভেটকি ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজির উৎপাদন ভালো হওয়ায় দাম কমে সাধারণের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু কিছু সবজি ৩ থেকে ১০ টাকা বাড়লেও সরবরাহ বাড়লে আবার দাম কমে যাবে।

Advertisement

বরিশালে সবজির একমাত্র পাইকারি বাজার বহুমুখী সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ী মেসার্স শাহারিয়া বাণিজ্যালয়ের মালিক মো. আলী হোসেন খান জাগো নিউজকে জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই সবজির দাম কম। এর মূল কারণ হচ্ছে এবার দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজির উৎপাদন ভালো হয়েছে। এর প্রভাবে খুচরা বাজারেও সবজি কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা বিভিন্ন খরচের দোহাই দিয়ে পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনে দ্বিগুণ মূল্যে খুচরা বাজারে বিক্রি করে।

নগরীর বাংলাবাজার এলাকার খুচরা সবজি বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারের দাম খুচরা বাজারে হিসাব করলে হবে না। কারণ পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কেনার পর তা পরিবহন ব্যয় ও শ্রমিক দিয়ে আনতে হয়। এরপর বাজারে নিয়ে বসলে সেখানে আলাদা খরচ দিতে হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলের জন্য আলাদা টাকা দিতে হয়। অনেক সময় পণ্য নষ্ট হলে লোকসান আমাদেরই গুনতে হয়। তাই খুচরা বাজারের সঙ্গে পাইকারি বাজারের তুলনা করে লাভ নেই।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধীকারী বলেন, অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি রোধে প্রায় প্রতিদিনই বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শাওন খান/এফএ/জেআইএম

Advertisement