ময়মনসিংহে একই সংবাদ একই শিরোনামে ১৩টি আঞ্চলিক দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় লাগাতারভাবে প্রকাশ করায় সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা।
Advertisement
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার (স্টাফ অফিসার টু ডিসি, মিডিয়া সেল ও প্রটোকল-১) শানিরুল ইসলাম শাওন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকদের নামে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
নোটিশপ্রাপ্ত পত্রিকাগুলো হলো শামসুল আলম খান সম্পাদিত দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ, এফ এম এ ছালাম সম্পাদিত দৈনিক দেশের খবর, এন বি এম ইব্রাহীম খলিল রহিম সম্পাদিত দৈনিক বিশ্বের মুখপত্র, মরহুম আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সম্পাদিত দৈনিক ঈশিকা, নাসির উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত দৈনিক অদম্য বাংলা, আফসর উদ্দিন সম্পাদিত দৈনিক সবুজ, আ ন ম ফারুক সম্পাদিত দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ ও দৈনিক দিগন্ত বাংলা, শেখ মেহেদী হাসান নাদিম প্রকাশিত দৈনিক জাহান, ওমর ফারুক সম্পাদিত দৈনিক কৃষাণের দেশ, এম এ মতিন সম্পাদিত দৈনিক নিউ টাইমস, ফরিদা ইয়াসমীন রত্না সম্পাদিত হ্রদয়ে বাংলাদেশ ও অ্যাডভোকেট বিকাশ রায় সম্পাদিত সাপ্তাহিক পরিধি।
Advertisement
কারণ দর্শানোর নোটিশে জানা যায়, পত্রিকাগুলো ভিন্ন হলেও চলতি বছরের ৩০ মার্চ, ৭ ,৮, ৯, ১০, ১২ এবং ১৩ এপ্রিল একই সংবাদ, একই শিরোনাম দিয়ে প্রকাশ করে। এসব পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকদের নোটিশ জারির দিন থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে একই সংবাদ, একই শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের কারণ ব্যাখ্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশটি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের গোপনীয় শাখার সহকারী কমিশনারকে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা জাগো নিউজকে বলেন, ওইসব পত্রিকাকাগুলোর সম্পাদক ভিন্ন, অফিসের ঠিকানা ভিন্ন ও পত্রিকার কালারও ভিন্ন। অথচ দ্বিতীয় পৃষ্ঠা ও তৃতীয় পৃষ্ঠার পুরো জায়গাজুড়ে বিনোদন, স্বাস্থ্য ও ধর্মসহ সব ধরনের অসংখ্য রিপোর্ট হুবহু ছাপানো হয়েছে। সম্পাদকীয় লেখাটাও হুবুহু ছাপানো হয়েছে। এছাড়া ওইসব রিপোর্টগুলোর হেডিংয়ের কালারেও কোনো ধরনের ভিন্নতা নেই। যা ছাপাখানা আইন ও কপিরাইট আইনে কিছু বাধা আছে। তিনি বলেন, হয়ত পত্রিকার সম্পাদকরা এই আইন সম্পর্কে জানেন না। অথবা জেনেও সবাই একসঙ্গে সহজভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য কপি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে আর যেন এমন কপি রিপোর্ট প্রকাশ না করা হয়, সেজন্য পত্রিকার সম্পাদকদের সতর্ক করতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তারা উপযুক্ত ব্যখ্যা দিতে পারলেই সমাধান হয়ে যাবে।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর
Advertisement