বেড়েই যাচ্ছে পেঁয়াজের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। এছাড়া এ সপ্তাহে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রতি লিটারে ১৪ টাকা। আর বেশ আগে থেকে চড়া রয়েছে চালের দাম।
Advertisement
মোটাদাগে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য এখন বাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম অস্বস্তিদায়ক। হুট করে কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়ায় তাদের সংসার খরচ বেড়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।
আরও পড়ুন:
Advertisement
তবে ঈদের আগে উত্তাপ ছড়ানো মুরগির বাজারে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। সবজির বাজারও গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমতির দিকে রয়েছে। ডিমের দামও আগের মতো কম।
এদিকে, পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর বিষয়ে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এবার মৌসুমে বেশ কম দর ছিল পেঁয়াজের। ফলন ভালো হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের কেজি সর্বনিম্ন ৩০ টাকায় নেমেছিল। এরপর কিছুটা বেড়ে ঈদের পরও ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে এখন দর উঠেছে ৬০-৬৫ টাকায়।
রামপুরা বাজারের বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, ঈদের পর প্রায় প্রতিদিন পাইকারি বাজারে একটু একটু করে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। সব হিসাবে নিলে, গত দুই সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ২০ টাকা বেড়েছে। এখন পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায়।
এদিকে, গত মঙ্গলবার থেকে বাজারে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা ও পাম তেলের দাম ১২ টাকা বেড়েছে।
Advertisement
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১৮৯ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৫ টাকা। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা, যা ছিল ৮৫২ টাকা।
বোতলজাত তেলের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম হবে প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা, যা ছিল ১৫৭ টাকা।
হাজীপাড়া বাজারে এক্তাদুল চৌধুরী নামের একজন ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা ও তেলের দাম ১৪ টাকা বেড়েছে। তাহলে একটি পরিবারের প্রায় ২০০ টাকা খরচ বাড়ছে এই দুটি পণ্যের পেছনেই। তাহলে আমাদের মধ্য-মধ্যবিত্ত মানুষ কীভাবে খরচ সমন্বয় করবে?
তবে এখন মাংসের বাজারে অনেকটা স্বস্তি আছে। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বাড়তে থাকে মাংসের দাম। তখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা দরে। একইভাবে সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে। বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন:
২০২৫ সালে দ. এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.৬ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস ভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতি কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও সংসার খরচে চাপ পড়বে নাএকইভাবে কিছুটা দর কমেছে গরুর মাংসের। ঈদের আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। এখন দর কমে কেজি ৭৫০ টাকায় মিলছে।
বেশ কয়েক সপ্তাহ নিম্নমুখী ডিমের দরে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দামে। মাসখানেক ধরেই এই দামের আশপাশে রয়েছে ডিমের দর।
এনএইচ/এসএনআর/এমএস