খেলাধুলা

সুপার লিগের শুরুতে চমক জাগানো জয় গুলশানের

সুপার লিগের শুরুতে চমক জাগানো জয় গুলশানের

সুপার লিগেও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের চমক অব্যাহত রয়েছে। রাউন্ড রবিন লিগের ১০ নম্বর ম্যাচে শাইনপুকুরের বিপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ জয় পেলেও তার আগে ও পরে দারুণ ক্রিকেট উপহার দিয়ে অগ্রণী ব্যাংক ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ওপরে থেকেই সুপার লিগে উঠে আসে গুলশানের স্বল্প পরিচিতির তরুণ ক্রিকেটাররা।

Advertisement

আজ বৃহস্পতিবার বিকেএসপি-৪ নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও দুর্দান্ত জয় পেয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। বৃষ্টি ভেজা ম্যাচে ডিএল মেথডে গুলশানের জিততে দরকার ছিল ২২ ওভারে ১৬২ রান। ওভারপিছু প্রায় সাড়ে ৭ রানের (৭.৩৬) কঠিন লক্ষ্যমাত্র ছুঁয়ে তিন উইকেটে অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছে গুলশান।

অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম, ওপেনার জাওয়াদ আবরার শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আবাসিক ক্যাম্পে। তাদের পরিবর্তে গুলশানের ওপেনার হিসেবে খেলেছে ২ জন; মেহেদি হাসান ও আলিফ হাসান ইমন। তারা দুজনই রান পেয়েছেন এবং প্রথম উইকেটে মাত্র ৬.৩ ওভারে ৫৬ রান তুলে দলকে একটা ভিত গড়ে দেন।

আলিফ হোসেন ইমন বল পিছু ৩৩ বলে ৩৫ রান করলেও তার সঙ্গী মেহেদি হাসান খেলেছেন ২৪ বলে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ওই ইনিংস খেলার পথে পাঁচ-পাঁচটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন মেহেদি। কিন্তু তারপরও তারা কেউই দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি।

Advertisement

রাউন্ড রবিন লিগে তৃতীয় হয়ে সুপার লিগ শুরু করা এনামুল হক বিজয়ের গাজী গ্রুপের বিপক্ষে গুলশানের আজকের জয়ের নায়ক নাইম ইসলাম। ওপেনার অলিফ ও মেহেদি ঝড়ের গতিতে শুরু করলেও ওভারপিছু প্রায় সাড়ে ৭ রানের লক্ষ্যের পিছু ধেয়ে খালেদ (১৪ বলে ১২), সাকিব শাহরিয়ার (০) আর অভিজ্ঞ ইলিয়াস সানি (৯), ফরহাদ রেজা (৩) ও উইকেটরক্ষক শাকিল (১) একের পর এক আউট হয়ে গেলেও সব দায় দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে অন্য প্রান্ত আগলে রাখেন নাইম ইসলাম।

হাত খুলে খেলে একাই দল জিতিয়ে সাজঘরে ফেরেন এ অভিজ্ঞ যোদ্ধা। ১৬৯.৭০ স্ট্রাইকরেটে মাত্র ৩৩ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৫৬ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়ে দল জিতিয়ে হাসিমুখে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

এর আগে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের সময় গাজী গ্রুপের স্কোর ছিল ২৩.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১১০। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় রান পাননি। ফিরে যান মাত্র ১ রানে। অপর ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ২৫ বলে দুটি ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ২৯ আর সাদেকুর ৫৬ বলে ৩৬ রানে আউট হয়ে যান। শামসুর রহমান শুভ ৫২ বলে ৩২ আর সাব্বির হোসেন ৫ বলে ১০ রানে ব্যাট করছিলেন।

এআরবি/আইএইচএস

Advertisement