অসহিষ্ণুতা, উগ্র জাতীয়তাবাদ ও সংকীর্ণতা জাতীয় এবং বৈশ্বিক বড় অর্জনের পথে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার।
Advertisement
তিনি বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি একদিকে সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করছে, অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী অসহিষ্ণুতা, উগ্রজাতীয়তাবাদ এবং সংকীর্ণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বড় বড় অর্জনের পথে এগুলোই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে নিজেদের মেধা, দক্ষতা ও শ্রম দিয়ে বিশ্বব্যাপী শান্তি, সহিষ্ণুতা, সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক পৃথিবী গড়ে তোলার দায়িত্ব তরুণদের।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আফতাবনগর খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টা গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম ফায়েজ বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বড় পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তিত এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এখন খবরদারির জায়গা থেকে সহযোগিতার জায়গাতে চলে এসেছে। আমরা সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই।
Advertisement
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন অ্যাপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ থেকে ২৫ বা ৩০ বছরের পরের বাংলাদেশ কেমন হবে, তা নির্ভর করছে তোমাদের ওপর। গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির বদলে উদ্যোক্তা হতে হবে। বড় প্রতিষ্ঠান করতে হবে এমন নয়, ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান গড়েও দেশের জিডিপিতে বড় অবদান রাখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বাংলাদেশ উচ্চমানের শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি একটি আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক এবং উদ্ভাবনী শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে দাবি তুলে ধরেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান বলেন, আমাদের জনশক্তিকে সম্পদে রূপান্তর করতে হলে প্রযুক্তিগত এবং ভাষাগত দক্ষতা বাড়াতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রচলিত কাঠামোর বাইরে গিয়ে নিজেদের সৃজনশীলতা দিয়ে নতুন কিছু করতে উৎসাহিত করাটা জরুরি।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারপারসনরা অংশ নেন।
Advertisement
সমাবর্তনে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের দুই হাজার ৮৮৫ শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। এছাড়া অনন্য মেধাবী ছয়জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
এএএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম