রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষে হলো গণজমায়েত কর্মসূচি ‘মার্চ ফর গাজা’। ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট’ বাংলাদেশের আয়োজনে এ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকা মিছিলের শহরে রূপ নিয়েছিল। ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে হাজার হাজার মানুষ মিছিল অংশ নিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগানে উত্তাল ছিল ঢাকার রাজপথ।
Advertisement
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে এ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শুরু করে মানুষ। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মিছিলের গন্তব্য ছিল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সকালেই পূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য।
দুপুরের পর মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ও বক্তা ড.মিজানুর রহমান আজহারী, শায়খ আহমাদুল্লাহ, কারী আহমাদ ইবনে ইউসুফ আজহারী, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
কর্মসূচি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মাদ গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মহাসচিব মাওলানা অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতারা অংশ নেন।
Advertisement
বিকেল চারটার দিকে জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক এর দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। এরপর মিছিলের মত সারা ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি প্রকাশকারী জনতা।
লাখ লাখ নারী-পুরুষের এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ ও যাতায়াতে মিছিলের নগরীতে রূপ নিয়েছে ঢাকা। সবার কণ্ঠে একই সুর ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ। জায়নবাদী ইসরায়েল, নিপাত যাক-নিপাত যাক। ‘ফ্রম দ্য রিভার টু সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’।
এসইউজে/এমএএইচ/জিকেএস
Advertisement