রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি। তা সফল করতে সারাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করেছেন অসংখ্য মানুষ। উদ্যানে জায়গা না পেয়ে মৎস্য ভবন, উচ্চ আদালত, প্রেস ক্লাব, কাকরাইল, রমনা পার্ক, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাস্তায় আরও অনেক মানুষ জড়ো হন। তবে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা।
Advertisement
এমন অবস্থায় মুসল্লিদের তৃষ্ণা মেটাতে এগিয়ে এসেছে একদল স্বেচ্ছাসেবক। তারা পিকআপে করে বিনামূল্যে পানি, বিস্কুট, কেক বিতরণ করছেন। তাদের এমন আপ্যায়নে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মার্চ ফর গাজায় আগত লোকজন।
শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, মৎস্য ভবনের সামনের সড়ক দিয়ে হাজারো মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। তবে তার আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জায়গা না থাকায় মানুষ তেমন এগোতে পারছে না। এসময় তীব্র গরমে অবেককে অস্থির দেখা যায়। তখন একদল যুবককে পিকআপে করে পানি বিতরণ করতে দেখা যায়। আরেকটি পিকআপ থেকে রুটি, চিপস, কেক বিতরণ করা হয়। মানুষ সারিবদ্ধভাবে খাবার সংগ্রহ করেন। তবে এ দুটি পিকআপে কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যানার লাগানো ছিল না।
জানতে চাইলে পানির পিকআপে দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবক মোস্তফা কামাল বলেন, সাধারণত এমন বড় জমায়েত মানুষের পানির চাহিদা বেশি থাকে। তাই তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে এক হাজার পানির বোতল বিতরণের উদ্যোগ নেন। মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে পানি নিচ্ছেন। এটা দেখে ভালো লাগছে।
Advertisement
তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধের মধ্যে তীব্র পানি সংকট চলছে। কিন্তু আমরা সেখানে কোনো সহযোগিতা করতে পারছি না। এখন বাংলাদেশে যারা গাজাকে সমর্থনে এখানে এসেছেন তাদের পানি খাওয়াতেও ভালো লাগছে।
মানিকগঞ্জ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে এসেছেন সুফিয়ান। তিনি ওই পিকআপ থেকে পানি সংগ্রহ করে পান করেছেন। আলাপকালে সুফিয়ান বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের পানির দোকান কম। সকালে যারা সমাবেশে এসেছেন তাদের অনেকেই ক্ষুধার্ত। এমন অবস্থায় বিনামূল্যে পানি ও অন্যান্য খাবার পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
এমএমএ/এমআইএইচএস
Advertisement