ধর্ম

ঋতুস্রাবের কারণে ছুটে যাওয়া রোজার কাজা করতে হবে কি?

ঋতুস্রাবের কারণে ছুটে যাওয়া রোজার কাজা করতে হবে কি?

ঋতুস্রাবকালীন সময়ে নারীদের ওপর নামাজ আদায় করা ও রমজানের রোজা রাখা ফরজ থাকে না এবং এ অবস্থায় নামাজ আদায় করলে ও রোজা রাখলে তা শুদ্ধও হয় না।

Advertisement

ঋতুস্রাবের কারণে ছুটে যাওয়া নামাজের কাজা আদায় করতে হয় না। তবে ঋতুস্রাবের কারণে যদি কারো রমজানের রোজা ছুটে যায়, তাহলে রমজান শেষ হওয়ার পর ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় করতে হয়। আয়েশা (রা.) বলেন,

كَانَ يُصِيبُنَا ذَلِكَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وآله وسلم فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلا نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلاةِ

আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবনকালে আমাদের ঋতুস্রাব হলে আমাদেরকে (রোজা ভেঙে পরবর্তীতে) রোজার কাজা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হতো, কিন্তু নামাজের কাজা আদায়ের আদেশ দেওয়া হতো না। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

Advertisement

রমজানের কোনো রোজা রাখার পর ওই দিন সূর্যাস্তের আগে অর্থাৎ ইফতারের সময় হওয়ার আগে যদি কোনো নারীর ঋতুস্রাব শুরু হয়, তাহলে তার ওই দিনের রোজাও ভেঙ্গে যাবে এবং তিনি তখন থেকেই খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন। পরবর্তীতে ওই দিনের রোজাটিরও কাজা আদায় করতে হবে।

মাসিক বন্ধ রাখলে কি নির্দিষ্ট দিনগুলোর রোজা কি শুদ্ধ হবে?

কোনো নারী যদি রমজান মাসে ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখে, তাহলে মাসিকের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে রোজা রাখতে হবে এবং ওই রোজাগুলো বিশুদ্ধ হবে, ত্রুটিপূর্ণ হবে না।

মাসিক বন্ধ রাখার ওষুধ সেবন করলে যেহেতু অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে, তাই ওষুধ সেবন করে মাসিক বন্ধ না রাখাই ভালো। ইসলাম মাসিককে নারীদের কোনো ত্রুটি বিবেচনা করে না এবং মাসিকের কারণে রোজা না রাখতে পারলে গুনাহ হবে না বা রমজান পালনের সওয়াবও কমবে না।

Advertisement

ওএফএফ/এমএস