কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া ২৮ বস্তা টাকার মধ্যে তিন ঘণ্টায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা গণনা করা হয়েছে। এখনও চলছে গণনার কাজ।
Advertisement
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে রূপালী ব্যাংকের এজিএম মোহাম্মদ আলী হারিসী জানান, সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে বস্তায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তালার মেঝেতে এনে সকাল ৯টায় গণনা শুরু করা হয়। সেই হিসাবে ৩ ঘণ্টায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা গণনা করা হয়েছে। এই টাকাগুলো নিরাপত্তার মাধ্যমে রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হচ্ছে।
মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী জামিয়া এমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ চার শতাধিক জনের একটি দল এই ২৮ বস্তা টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছে। এবার রমজানের জন্য দানবাক্স খোলার সময় পার হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত একটি টিনের বাক্স বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৭টায় পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। পরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দোতলায় এনে গণনার কাজ শুরু হয়।
Advertisement
দানবাক্স খোলার সময় সকালে কিশোরগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তার প্রমুখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এছাড়াও এসময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।
মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়।
মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
Advertisement
এসকে রাসেল/এফএ/এমএস