দেশজুড়ে

মিরসরাই শিল্পজোন সমুদ্রসৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড়

মিরসরাই শিল্পজোন সমুদ্রসৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড়

ছুটির দিনে দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মিরসরাই শিল্পজোন সমুদ্রসৈকত। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও সহপাঠীদের নিয়ে এ স্পটে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্র জানায়, পতেঙ্গা সি-বিচ কিংবা কক্সবাজারের মতো না হলেও মিরসরাইয়ের সবুজ পরিবেশ, সমুদ্রসৈকত প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে টানছে। দর্শনার্থীরা দিন দিন এ দর্শনীয় স্থানের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। বঙ্গোপসাগরের মোহনায় গড়ে ওঠা শিল্পনগর সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের উপচেপড়া ভিড়। সাগরে জোয়ার-ভাটার খেলায় অপরূপ হয়ে ওঠে এ সৈকত।

শিল্পনগরের পাশে এ সুপার ডাইকে। ডাইকের পাশেই সমুদ্র সৈকত। বৃষ্টিতে সুপার ডাইকের কাছাকাছি পানি টইটম্বুর থাকে। বর্তমানে পর্যটকদের কাছে এটি মিনি পতেঙ্গা সি বিচ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে

একটা সময় এখানে ছিল না কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা। খাল দিয়ে নৌকা করে জেলেরা মাছ ধরতে যেত সমুদ্রে। মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধনের পর থেকে এখানকার চিত্র পাল্টে যায়। সাগর ঘেঁষে নির্মাণ করা হয় সুপার ডাইক। সুরক্ষার জন্য বসানো হয়েছে ব্লক। অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুবাদে এখানে তৈরি হয়। মূলত এরপর আবিষ্কার হয় এ সৈকতের।

Advertisement

ফেনী থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসা ইয়াসির আরাফাত বলেন, এটা বলতে গেলে বাংলাদেশের নতুন একটা সমুদ্র সৈকত। যদিওবা এটি তেমন একটা পরিচিতি লাভ করেনি। কিন্তু যারা অল্প টাকায় ঘুরতে চান তারা এ সমুদ্র সৈকতে ঘুরে যেতে পারেন। এখানে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে।

সাইদুল ইসলাম তারেক নামে আরেক পর্যটক বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি। এ প্রথম এখানে আসলাম, এসে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এখানে কোনো ধরনের ঝামেলা নাই। খুবই নিরিবিলি পরিবেশ।

শাহাদাত হোসাইন নামে দুই পর্যটক বলেন, আমরা ৮ জন বন্ধু মোটরসাইকেল করে ফেনী থেকে এখানে ঘুরতে এসেছে। এখানো এতো সুন্দর জায়গা আছে আগে জানতাম না, খুব ভালো লাগছে এবং আমরা অনেক আনন্দ করছি। আমাদের কাছে এটি পতেঙ্গা সি বিচের মতো মনে হচ্ছে। তবে এখানে কয়েকটি দোকান হলে খুবই ভালো লাগতো।

উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়ন থেকে আসা গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ছেলে মেয়েদের নিয়ে এখানে প্রথম বারের মত বেড়াতে আসলাম। খুব ভালো লাগছে। অনেকটা কক্সবাজার ও পতেঙ্গার মত দেখতে। বাচ্চারাও খুব আনন্দ করেছে।

Advertisement

এম মাঈন উদ্দিন/আরএইচ/এমএস