নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে কথামতো কোচিং না করায় পরীক্ষার কক্ষে এক ছাত্রীর খাতা ছিনিয়ে নিয়ে ভুল উত্তর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এসময় বাধা দেওয়ায় ওই পরীক্ষার্থীকে গালমন্দসহ হেনস্তা করা হয়।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী মোসাম্মৎ শানজিদা আফরিনের লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য জানা গেছে। এরআগে দুপুরে উপজেলার বামনী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা গেছে, বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক শাহ কামাল সবুজের প্ররোচনায় কক্ষ পরিদর্শক পেশকারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল করিম ওই ছাত্রীকে দেরিতে প্রশ্ন দেন এবং সময় ফুরানোর আগেই উত্তরপত্র ছিনিয়ে নেন। এসময় শাহ কামাল সবুজ ওই ছাত্রীর নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তরপত্রে ইচ্ছামতো বৃত্ত ভরাট করে জমা দিয়ে দেন। এতে বাধা দেওয়ায় দুই শিক্ষক সবার সামনে তাকে হেনস্তা করেন।
ভুক্তভোগী ওই পরীক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি এবার বামনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। কিছুদিন আগে আমাদের বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক কোচিং করালেও আমি এতে ভর্তি হইনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের শিক্ষক শাহ কামাল সবুজ পরীক্ষার কক্ষে আমার সঙ্গে অসদাচরণ করেন। আমি যাতে ফেল করি, সেজন্য আমার খাতায় জোর করে ভুল উত্তর দিয়েছেন। আমি এর বিচার চাই।’
Advertisement
ওই ছাত্রীর বাবা নজরুল ইসলাম টিপু জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমি কেন্দ্র সচিবের কাছে বিচার দিলেও কোনো প্রতিকার পাইনি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ ধরনের ঘটনা যেন আর কারও সঙ্গে না হয়।’
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহ কামাল সবুজ অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আর কোচিং অনেক আগে শেষ হয়েছে। এ নিয়ে ছাত্রীকে গালমন্দ করার প্রশ্নই আসে না।’
অপর শিক্ষক নুরুল করিম বলেন, ‘সময়মতো প্রশ্ন দেওয়া এবং উত্তর নেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রী অতিরিক্ত সময় চাইলে তার সঙ্গে তর্ক হয়। অবশ্য একটা সময় আমি ওয়াশরুমে ছিলাম। তখন কিছু হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে জানতে বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব মো. আতিক উল্যাহকে বারবার ফোন করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Advertisement
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কেন্দ্র সচিবকে আসতে বলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জেআইএম