গাজা সিটির শুজাইয়া শহরের আবাসিক ভবনগুলোতে দফায় দফায় বোমা হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৫৫ জন। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
শুজাইয়া শহরে হামলার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলার মাধ্যমে গণহত্যা চালাচ্ছে।আহতদের চিকিৎসায় রক্তদানের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের বালাতা শরণার্থী শিবির এবং নিকটবর্তী নাবলুসে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে।
এর আগে গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একদিনেই কমপক্ষে ৫৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ২১৩ জন। পুরো গাজাজুড়েই ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল।
Advertisement
অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ইসরায়েলের কড়াকড়ি আরোপের ফলে ৬ লাখ ২ হাজার শিশু পোলিও টিকা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় স্থায়ী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় বড় আকারের বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করেছে। শুধু তাই নয় ক্রমাগত নিজেদের নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণ করে চলেছে দখলদার ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত এই উপত্যকার ৫০ শতাংশ অংশ দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিজ ভূমিতে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছেন অধিকাংশ ফিলিস্তিনি।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দখলদারদের হামলায় নিহত ৫৮ গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে, নিজভূমে পরবাসী ফিলিস্তিনিরা ‘পাহাড় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে শিশুদের ওপর’ রাফাহকে গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় ইসরায়েল২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৮১০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৮৮ জন। সরকারি মিডিয়া অফিস তাদের মৃতের সংখ্যা আপডেট করে ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বলে জানিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার মানুষকে এখন মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
টিটিএন
Advertisement