জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেই হবে বলে উল্লেখ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
Advertisement
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের সমানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস কোর্টে (আইসিসি) পাঠানোর বিষয়ে প্রেস সচিবের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এমন প্রশ্ন করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রেস সেক্রেটারি যেটা বলেছেন (আইসিসিতে বিচার নিয়ে) সেটা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। ওনার সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে গণহত্যা বলেন বা মানবতাবিরোধী অপরাধ বলেন, জুলাই-আগস্টের এই মামলাগুলোর বিচার আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেই হবে। তবে আইসিসি যদি টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয় সেটা আমরা গ্রহণ করব।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে গণহত্যাকারীদের বিচার বাংলাদেশেই সম্ভব উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আইসিসিতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে আইসিসি চাইলে তাদের কাছ থেকে আমরা টেকনিক্যাল সহযোগিতা নিতে পারি। কেননা গণহত্যার ঘটনা বাংলাদেশের। আসামি কিংবা সাক্ষীরাও এখানকার। কাজেই বিচারপ্রক্রিয়া দেশেই হোক।
Advertisement
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার করতে বাংলাদেশ সক্ষম, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং ইচ্ছুক। বাংলাদেশের এই বিচার করার সামর্থ্য আছে। আর ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে। আসামিরা বাংলাদেশেই বাস করে বা আশপাশের দেশেই আছে। সাক্ষীরা এদেশের। সুতরাং এই বিচার বাংলাদেশের কোর্টে হবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। আইসিসিতে তখনই যেতে হয় যখন কোন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে সেই রাষ্ট্র সক্ষম না হয় কিংবা সেই রাষ্ট্র যদি এই বিচার করতে ইচ্ছুক না হয়। কিন্তু এই দুটির একটিও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এই দেশের কোর্টেই (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) হবে। এটাই সিদ্ধান্ত।
এফএইচ/এএমএ