বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। নতুন কমিটির পাশাপাশি সংগঠনটি ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে।
Advertisement
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্ল্যাটফর্ম। তাদের দাবি, ৫ আগস্টের রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছিলেন তারা। এখনো তারা প্রশাসনে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার। ওই ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।
গত রোববার (৬ এপ্রিল) মোট ৫১ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সংগঠনটি। এরমধ্যে কোঅপ্ট করার সুযোগ রেখে ৩১ সদস্যের নাম প্রকাশ করেছে। কমিটির সভাপতি সাবেক সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, কার্যকরী সভাপতি সাবেক সচিব আব্দুল খালেক, সদস্যসচিব সাবেক সচিব কাজী মেরাজ হোসেন।
এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- সাবেক যুগ্ম সচিব বিজন কান্তি সরকার, সাবেক যুগ্ম সচিব হারুন উর রশীদ, সাবেক সচিব মাকসুমুল হাকিম, সাবেক যুগ্ম সচিব তপন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক সচিব সামসুল আলম, তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, সাবেক সচিব এস এম শমশের জাকারিয়া, সাবেক সচিব মোস্তাইন বিল্লাহ, সাবেক সচিব আলাউদ্দিন আজাদ, সাবেক সচিব আব্দুল বারী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ওয়াসিম জব্বার, সাবেক সচিব তৌহিদুর রহমান, সাবেক সচিব আমিনুল ইসলাম, সাবেক সচিব মসিউর রহমান, সাবেক সচিব কামরুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক ডিআইজি ইয়াসমিন গফুর, সাবেক ডিআইজি আলী আকবর, সাবেক কর কমিশনার কাজী ইমদাদুল হক, সাবেক সচিব মনজুর মোর্শেদ চৌধুরী, সাবেক সচিব জাকির হোসেন কামাল, কৃষিবিদ ডা. শফিউল আহাদ স্বপন, সাবেক এসপি আব্দুল মান্নান, সাবেক সচিব এ কে এম ইহসানুল হক, সাবেক সচিব মাহফুজুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. সুরাতুজ্জামান, সাবেক অধ্যাপক শিব্বির আহমেদ, সাবেক কর কমিশনার মকবুল হোসেন পাইক, সাবেক উপ-সচিব শামসুল আলম, সচিবালয় কর্মচারী কর্মকর্তা সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সচিবালয় কর্মচারী কর্মকর্তা সংযুক্ত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন। বাকি ২০ সদস্য পরে কোঅপ্ট করা হবে বলে জানানো হয়।
Advertisement
কমিটি ঘোষণার পরদিন ৭ এপ্রিল জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখ্য উদ্দেশ্য হাসিলে নতুন করে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তারের সই করা বার্তায় ওই ৫ দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো১. সিভিল প্রশাসনে কর্মরত সব ক্যাডার, নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে যারা ফ্যাসিস্টদের দোসর ও দুর্নীতি পরায়ণ তাদের অবিলম্বে চাকরি থেকে অপসারণ এবং আইনের আওতায় আনতে হবে।
২. নিরপেক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো নিশ্চিত করার স্বার্থে সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
৩. ফ্যাসিস্ট আমলে বৈষম্যের শিকার বর্তমানে কর্মরত সব ক্যাডার, নন-ক্যাডার কর্মকর্তা/কর্মচারীকে মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্যান্য সংস্থা/দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করতে হবে।
Advertisement
৪. বৈষম্যের শিকার এখনো বঞ্চিত সব ক্যাডার, নন-ক্যাডার কর্মকর্তা/কর্মচারীকে দ্রুত পদোন্নতিসহ প্রাপ্য সুবিধা দিতে হবে। এবং
৫. ফ্যাসিস্ট দোসর ও দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের পদোন্নতি/পদায়নে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করছেন এবং করবেন, তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
এসইউজে/কেএসআর/এএসএম