দেশজুড়ে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক স্থাপনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক স্থাপনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক স্থাপনের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাংক বাস্তবায়ন হলে মৎস্যজীবীরা দাদনের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

Advertisement

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বরিশালের বেলস পার্ক মাঠে এক জেলে সমাবেশে এ কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, আমরা একটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক স্থাপনের জন্য এরই মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে চিঠি দিয়েছি। এ ব্যাংক বাস্তবায়ন হলে মৎস্যজীবীরা দাদনের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

জেলেদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের মালিক আপনারা। আপনার নিশ্চয়তা দিলে জাটকা অবশ্যই ইলিশে পরিণত হবে। জাটকা না ধরলে নদীতে জাল ফেললে ইলিশ ভরে উঠবে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ইলিশের বাড়ি ভোলা আর ইলিশের বিভাগ হচ্ছে বরিশাল। বরিশাল বিভাগে মোট ইলিশের ৬৫ দশমিক ৮৮ ভাগ উৎপাদন হয়ে থাকে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণে আমাদের কার্যক্রম চলবে। এ সময়ে জাটকা সংরক্ষণে যে জেলা সফল হবে তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

এসময় উপদেষ্টার কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশন ও ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির নেতারা।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- নিষিদ্ধ বেহেন্দি ও পাইজালসহ অবৈধ জালের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ, সর্বাধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চালু, দ্রুত মৎস্য ব্যাংক স্থাপন এবং বরিশালে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের দ্রুত আধুনিকায়ন, মৎস্যজীবীদের জন্য বীমা ব্যবস্থা চালু এবং চাল বিতরণে অনিয়ম রোধ।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র।

Advertisement

স্বাগত বক্তৃতা দেন মৎস্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের উপপরিচালক নিপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। আরও বক্তৃতা দেন রেঞ্জ ডিআইজি মনজুর মোরশেদ আলম, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ইমাম হাসান আজাদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন, মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইসরাইল পণ্ডিত প্রমুখ।

শাওন খান/জেডএইচ/এএসএম